তৃতীয় স্ত্রীর মামলায় গ্রেফতার সেই প্রকৌশলীর জামিন
তৃতীয় স্ত্রীর করা প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হওয়া নোয়াখালীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট মঞ্জুর কাদের তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে আসামি আহসান হাবিবের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
এরআগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় হাবিবকে হস্তান্তর করা হয়।
নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকায় মামলা হলেও আহসান হাবিবের কর্মস্থল নোয়াখালীতে গ্রেফতারি পরোয়ানা আসে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় আদালতে তাকে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় স্ত্রীর মামলায় জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী গ্রেফতার
আদালত সূত্র জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর আসামি হাবিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরআগে একই মামলায় দুবার তার বিরুদ্ধে সমন জারি করলেও তিনি আদালতে উপস্থিত হননি।
হাবিবের তৃতীয় স্ত্রী ডা. সুমনা ইসলামের অভিযোগ, আহসান হাবিব একাধিক বিয়ে করলেও সেসব তথ্য গোপন করে প্রতারণামূলকভাবে তাকে বিয়ে করেন। এমনকি তার ১৪ মাসের কন্যাসন্তানের স্বীকৃতিও দেন না তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময় আহসান হাবিব তার বাসায় লোকজন পাঠিয়ে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ডা. সুমনা। সেখানে তিনি হাবিবের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে বহুবিবাহের অভিযোগ তোলেন। স্ত্রীর স্বীকৃতি, সন্তানের পিতৃপরিচয় অস্বীকার করে উল্টো নানা অপপ্রচার, সামাজিকভাবে সম্মানহানির অভিযোগও করেন তিনি।
একইসঙ্গে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা থেকে বিরত থেকে স্ত্রী হিসেবে নিজের স্বীকৃতি ও সন্তানের পিতৃপরিচয়ের নিশ্চয়তা দাবি করেন ডা. সুমনা। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এএসএম
