মুন্সিগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, এমপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এটিকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিকেলে শহরের মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সর সামনে অনুষ্ঠান আয়োজন করেন পৌর মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দিতে গজারিয়া উপজেলা থেকে নৌপথে আসেন নেতাকর্মীরা। এসময় শহরে হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় এমপির অনুসারী পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি মনির হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ। এসময় মনির, সোহাগ, সাব্বির, সালাউদ্দিন, জামালসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা এমপি মৃণাল কান্তি দাসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মেয়র ফয়সাল বিপ্লব বলেন, নেতাকর্মীদের মারধর করেছে এমপি মৃণাল কান্তির লোকজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আগতদের ওপর যে হামলা চালায়, সে আওয়ামী লীগের কেউ হতে পারে না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে নেতাকর্মীরা নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরাই নেবে। এমপির দোকানদারি আমরা আর মানবো না।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহকে পাওয়া যায়নি।
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মৃণাল কান্তি দাস বলেন, শহরে প্রোগ্রাম থাকায় আমি গজারিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম সারাদিন। সেখান থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। মনির হোসেন একা ছিলেন, তাকে মারধর করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে শুনেছি। তবে দুঃখজনক এ বিষয়টি নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেছে, যা লাইভে সারাদেশের মানুষ দেখেছে।
তিনি বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করি এবং আমি আমার কাজ করে যাবো। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় আমরা দুই গ্রুপকে ছড়িয়ে দিয়েছি। হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/আরএইচ/কেএএ/এমএস