পরিষদের গাছ বিক্রি, জানেন না চেয়ারম্যান
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বজলুর রশিদ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের পশ্চিম পাশের জমিতে বেড়ে ওঠা দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে বিক্রি করে বজলুর রশিদ। তিনি পবনাপুর ইউনিয়নের পারবামুনিয়া গ্রামের মৃত নজির হোসেনের ছেলে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের পশ্চিম পাশের পেছনের জমিতে বেড়ে ওঠা কয়েকটি ইউক্যালিপটাস গাছের মধ্যে দুটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। আরও একটি কাটার প্রস্তুতি চলছে।
গাছ কেটে বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদার জমিতে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মিত হয়েছে। পরিষদের পেছনের অব্যবহৃত জমিগুলো আমরা চাষাবাদ করি। প্যানেল চেয়ারম্যানের মৌখিক অনুমতিতে দুটি গাছ কেটে ২৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি।’
এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে কিছু জানি না। ইউএনও মোবাইলফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। পরে চৌকিদার মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে।’
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শামীম সরকার শাহীন/এসআর/জিকেএস