তিস্তায় পানি কমায় স্বস্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৩

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও দুপুরের পর থেকে কমতে শুরু করেছে। নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা আতঙ্ক কমলেও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি দুপুর পর্যন্ত আরও কিছুটা বেড়ে কমতে শুরু করেছে।

jagonews24

তিস্তা নদীর অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার বাসিন্দা নয়ন মিয়া বলেন, ‘গতকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। বড় নাকি বন্যা হবে, এ চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি। দুপুর পর্যন্ত বন্যার দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে দুপুরের পর পানি কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।’

ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের মেম্বার মামুনুর রশীদ জানান, চর খিতাব খাঁ ও ঘড়িয়াল ডাঙা এলাকার হাতেগোনা দু-একটি বাড়িঘরে পানি উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

jagonews24

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজও রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল বৃষ্টিপাত কমে স্বাভাবিক হতে পারে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, তিস্তায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কায় নদীর অববাহিকায় মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সজাগ রয়েছেন। ১৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

jagonews24

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে বলে জানান কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। তিনি বলেন, জেলার ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ ব্যবস্থা প্রস্তুত আছে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।