ভোলায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশীয় মাছের দাম
ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে ভোলার মাছ বাজারে। নদীর মাছ না থাকায় সব ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০০-৩০০ টাকা। ক্রেতার ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বাধ্য হয়ে কিনছেন মাছ।
বিক্রেতারা নিষেধাজ্ঞার অজুহাত দেখিয়ে বলছেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় চাহিদা বেশি। আর এ কারণেই দাম একটু বেশি।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ভোলা পৌরশহরের মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশসহ নদীর কোনো মাছ নেই। দেশীয় রুই, কাতলা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, শিং, কৈ মাছের দখলে বাজার। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ঘুরে ঘুরে দর-দাম করে ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
মাছ কিনতে আসা মো. মহিউদ্দিন, আব্দুল গনি, অপু দে ও জান্নাত বেগম জানান, তারা বাড়ির জন্য মাছ কিনতে এসেছেন। রুই, কাতলা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, শিং, কই, পুঁটি, চিংড়ি, শোলসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছে ভরে গেছে বাজার। কিন্তু দাম আগের চেয়ে কেজি প্রতি ১০০-৩০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেড়েছ চিংড়ি মাছের দাম। আগের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। আর কেজিতে ১০০টাকা বেড়েছে পাঙাশ মাছের দাম।

তারা আরও জানান, বেশি দামের বিষয়ে মাছ বিক্রেতাদের প্রশ্ন করলে তারা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার অজুহাত দেয়। যেহেতু নদীর মাছ বাজারে উঠছে না ২২ দিনের জন্য তাই বাধ্য হয়ে ঘুরে ঘুরে দর-দাম করে মাছ কিনতে হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন, মো. মনির ও মো. ফারুক বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে পুকুর ও ঘেরের মালিকরা তাদের মাছের দাম আগের চেয়ে কেজিতে ১০০-৩০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। যেহেতু নিষেধাজ্ঞার সময় পুকুর ও ঘেরের মাছ বিক্রি করতে হবে তাই আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে মাছ কিনে এনে বেশি দামে বিক্রি করছি।

তারা আরও জানান, বর্তমানে রুই, কাতলা মাছ দেড় কেজি ওজনের সাড়ে ৩০০ টাকা, ২ কেজির বেশি ওজনের সাড়ে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১ কেজির বেশি ওজনের ২৫০ টাকা, ১ কেজির নিচে ওজনের ১৮০ টাকা, চিংড়ি ছোট ৭০০ টাকা, মাঝারি ৯০০ ও বড় ১২-১৩০০ টাকা। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে দেশীয় এসব মাছের দাম কেজি প্রতি ১০০-৩০০ টাকা কমে যাবে।
এসজে/জেআইএম