ছেলে ব্যারিস্টার হওয়ায় দুই হাজার গ্রামবাসীকে খাওয়ালেন বাবা-মা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

অডিও শুনুন

শরীয়তপুরে ছেলে ব্যারিস্টার হওয়ার খুশিতে গ্রামের দুই হাজার মানুষকে মধ্যাহ্নভোজ করিয়েছেন তার বাবা-মা।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের চাঁদসার এলাকায় মধ্যাহ্নভোজের পাশাপাশি সংবর্ধনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের চাঁদসার এলাকার ইউনুছ আলী ও শামছুন্নাহার বেগম দম্পতির সন্তান মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (জুয়েল)। তিনি চাঁদসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সপ্তপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং শরীয়তপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এরপর আইন বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে ব্রিটেনে পাড়ি জমান জুয়েল। সেখানকার ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি এবং লন্ডনের বিপিপি ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুল থেকে এলএলএম কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন জুয়েল।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জুয়েলের মা শামসুন্নাহার বেগম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিল শাহনেওয়াজ। সবসময় আমরা চাইতামও ভালো কিছু করুক। আজ ওর এ কৃতিত্বে আমি মা হিসেবে গর্ববোধ করি। আমি চাই আমাদের ছেলে আইন পেশায় নিয়োজিত থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করবে।’

ব্যারিস্টার শাহনেওয়াজ জুয়েল লন্ডন থেকে ফোনে বলেন, ‘এ অর্জনের পেছনে আমার বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। তবে আমার বাবা এখন অসুস্থ। তিনি যখন সুস্থ ছিলেন তখন সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বাবার উৎসাহ, কঠোর পরিশ্রম আমাকে এ ডিগ্রি অর্জনে সহায়তা করেছে। বাবার জীবদ্দশায় এ ডিগ্রি অর্জন করতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

এ বিষয়ে পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম আজাহার হোসেন বলেন, শাহনেওয়াজ জুয়েল আমাদের এলাকার ছেলে। তিনি লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করেন। তার এ কৃতিত্বে আমরা সবাই গর্বিত। তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।