উপ-নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত
‘বিশ্বাস বাবুর মৃত্যু হয়েছে’ বললেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মৃধা
সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ফলাফলের গ্যাজেট ঘোষণা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা ‘বিশ্বাস বাবুর মৃত্যু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। গ্যাজেট স্থগিত করায় জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
এ সময় জিয়াউল হক মৃধা বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের কথা রাখতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছে। আমি সরল মানুষ, আমি মানুষকে বিশ্বাস করি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখলাম বিশ্বাস বাবুর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বাস বাবু আর বেঁচে নেই। কাজেই অসামঞ্জস্য ফলাফল, অসমঞ্জস্য ভোটার লিস্ট ছিল। আচরণবিধিতে আছে নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল নিয়ে কেউ আসাযাওয়া করতে পারবে না। অথচ ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেলের মহড়াসহ সবকিছু মিলিয়ে আমি চুপচাপ ছিলাম এ জন্য, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল, যা এখনো আছে। যার ফলে আমি বড় ধরনের কিছু চাইনি।
তিনি আরও বলেন, ন্যায় বিচার পাওয়া সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে তাদের এবং শেখ হাসিনা ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, তাহলে এদিক সেদিক না গিয়ে সত্যিকার অর্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মৃধা অভিযোগ করে বলেন, আশুগঞ্জে প্রায় কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এখানে পেশিশক্তি, অর্থশক্তি সবই ব্যবহার হয়েছে। এ তদন্ত আমি মানি না। নির্বাচন কমিশন যদি তাদের দিয়েই তদন্ত করায়, শাক দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা করে তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নেবো। প্রয়োজন হলে হাইকোর্টে গিয়ে রিট করবো।
৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
উপ-নির্বাচনে স্থূল কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
আসনটিতে উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এমএস