স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
দেশে এসে টাকার হিসাব চাওয়ায় প্রবাসীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় স্বামীর শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলার মদন উপজেলার কাইটাল ইউনিয়নের বারোরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ যুবকের নাম এখলাছ উদ্দিন (৩৫)। তিনি কেন্দুয়া থানার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাছহার গ্রামের আমজদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলার খায়রুল মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তারকে ছয় বছর আগে বিয়ে করেন এখলাছ উদ্দিন। বিয়ের কিছুদিন পর এখলাছ মালয়েশিয়া যান। পরে সেখান থেকে যান সৌদি আরবে। বিদেশে থাকা অবস্থায় তার রোজগারের টাকা স্ত্রীর কাছেই পাঠাতেন। এর চার বছর পর বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে টাকা-পয়সার হিসাব চাইলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
সোমবার দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে গেলে এনিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী মুক্তা আক্তার তার লোকজন নিয়ে স্বামী এখলাছ মিয়ার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে এখলাছ মিয়ার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বারর্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
অগ্নিদগ্ধ এখলাছ মিয়ার ভাগনে মুসলেম উদ্দিন বলেন, তাদের (স্বামী-স্ত্রী) আগে থেকেই টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদ চলছিল। গতরাতে এখলাছ মিয়াকে ফোন করে নিজের বাবার বাড়ি ডেকে নেন তার স্ত্রী। সেখানে স্বামী-স্ত্রী একটি ঘরে ঘুমাতে যান। রাতে এখলাছ উদ্দিন ঘুমিয়ে গেলে তার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্ত্রী মুক্তা আক্তার। এতে এখলাছ উদ্দিনের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইকবাল মিয়া বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত মুক্তা আক্তার ও তার বাবা খায়রুল মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, অগ্নিদগ্ধ এখলাছের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছিলেন। ঘটনাস্থল যেহেতেু মদন তাই সেখানে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এইচ এম কামা/এসআর/এমএস