রংপুর

সবজিতে স্বস্তি, কমেনি চাল-ডাল-মাছ-মাংসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় স্বস্তির দেখা মিলেছে রংপুর বাজারে। একই সঙ্গে কমেছে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ডিমের দাম। তবে দাম বেড়েছে আটা, চিনি ও রসুনের। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মাছ ও মাংসের দাম ।

রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি সাদা চিনি ১৫০ টাকা এবং লাল চিনি ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ আগের মতোই ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কার্ডিনাল আলু ৪৫ টাকা, সাদা দেশি আলু ৬৫ টাকা, শিল ৫৫-৬৫ টাকা এবং ঝাউ আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচ ৯০-১০০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রংপুরে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম, কমেছে ডিম-সবজির

বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, পাইকারি বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা থেকে কমে ৩৮-৩৯ টাকা, দেশি আদা আগের মতোই ২৩০-২৪০ টাকা, ভারতীয় আদা ২২০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটোর দাম কমে ১৩০-১৪০ টাকা, গাজর ১৩০-১৪০ টাকা থেকে কমে ৮০-৯০ টাকা, চিকন বেগুনের দাম কমে ২০-২৫ টাকা, গোল বেগুন ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা এবং মাঝারি সাইজের বেগুন ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, শশা ৩০-৩৫ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা , শুকনা মরিচ গত সপ্তাহের মতোই ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৩০-৪০ টাকা, ধনেপাতার দাম কমে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২০-২৫ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙে ৪৫-৫০ টাকা, দুধকুষির দাম কমে ৪০-৪৫ টাকা, পটল ৩০-৩৫ টাকা, ঢেঁড়সের দাম কমে ৪০-৪৫ টাকা, কাঁকরোল আগের মতোই ৫০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, শিমের দাম কমে ৭০-৮০ টাকা থেকে হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৪০ টাকা থেকে কমে ২০-২৫ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা থেকে কমে ১৫-২০ টাকা, দেশি রসুনের দাম বেড়ে ২২০-২৪০ টাকা থেকে হয়েছে ২৭০-২৮০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটির দাম কমে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

আরও পড়ুন: শাকসবজির দাম কমলেও স্বস্তি নেই আলু-পেঁয়াজে

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা হেলাল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে। এ কারণে সবজির দাম নাগালের মধ্যে। বিশেষ করে মুলা, বেগুন এবং কপির দাম অনেকটাই কমে এসেছে। তবে রসুনের সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করেছে।

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি আগের মতোই ৪৩০-৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংসের দামে কোনো সুখবর নেই। বাজার ভেদে ৬৫০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বেড়েছে সবজি-মাছ-চিনি-ডালের দাম

সিটি বাজারে মাংস কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় গরুর মাংস মাইকিং করে ৫৮০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ রংপুরে এর কোনো প্রভাব নেই। এ বিষয়ে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তিনি।

অন্যদিকে খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৯ টাকা, দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৩-৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা ও খোলা আটা ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ফুলগাজী বাজার প্লাবিত

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ২৮০-৩৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।