ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত সাগরকন্যা
সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পরে পর্যটকে চাঞ্চল্যতা ফিরতে শুরু করছে।
সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সাথে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সরগম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট।
জানা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির ডাকা টানা অবরোধ কর্মসূচিতে পর্যটন বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে কুয়াকাটা। তবে দুদিনের ছুটি ও অবরোধ না থাকায় সাগরকন্যার তীরে ছুটে এসেছেন বহু পর্যটক।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। আগত পর্যটকরা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠছেন। আবার কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ডেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
খুলনা থেকে ঘুরতে আসা রাব্বি জাগো নিউজকে বলেন, আমি পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। কয়েকদিন আগে থেকে আসার ইচ্ছে কিন্তু অবরোধের কারণে সাহস হচ্ছিল না। দুইদিনের ছুটি পেয়ে বেড়াতে এসেছি। মৌসুমের শুরুতে সূর্যাস্তটা উপভোগ করলাম।
দীর্ঘদিন পরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় স্থানীয় ১৬টি পেশার মানুষের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ও সুবিধা দিচ্ছেন।

হোটেল সমুদ্র বিলাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. ইসমাইল ইমন বলেন, শুক্রবার আমাদের হোটেলে ৭০ শতাংশ রুম বুকিং রয়েছে। একমাসের বেশি সময়ে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা বেশ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এখন সবাই চেষ্টা করছে।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) আবুল হোসেন রাজু জাগো নিউজকে জানান, ছুটিরদিন ও বিজয় দিবসের বন্ধ উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকদের ভীড়। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত এখন সৈকত।
কুয়াকাটা জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এনআইবি/এএসএম