বিজয় দিবস ঘিরে ব্যস্ত গাইবান্ধার ফুল বিক্রেতারা
মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে গাইবান্ধায় ফুলের দোকানগুলোতে পুষ্পার্ঘ্য তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল বিক্রেতারা। বছরের সাতটি দিবসকে ঘিরে রমরমা হয় ফুলের ব্যবসা। এর মধ্যে বুদ্ধিজীবি ও বিজয় দিবস কাছাকাছি হওয়ায় দুদিন ধরে চলছে ফুল বিক্রেতাদের কর্মযজ্ঞ।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে গড়ে ওঠা ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৫ জন থেকে ২০ জন ফুল বিক্রেতা তৈরি করা ফ্রেমে ফুল সাজাচ্ছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের দোকানগুলোয় থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হরেক রকমের ফুল। এর মধ্যে গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ও জারবেরা অন্যতম। এসব ফুল আকর্ষণীয়ভাবে বেধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য ফ্রেমে আটকে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন আকারের মালা। আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পার্ঘ্যের জন্য অর্ডার করে রেখেছেন।
ফুল বিক্রেতারা জানান, ব্যক্তিগত ক্রেতার তুলনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোম্পানির লোকজন বেশি ফুল কিনছেন। প্রতিটি পুষ্পার্ঘ্য প্রকারভেদে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব শ্রদ্ধাঞ্জলি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত করছেন তারা। রাত ১২টা পর্যন্ত আরোও কিছু অর্ডার পাবেন বলে আশা করছেন তারা। সে অনুযায়ী, কারিগররা ব্যস্ত ফুলের ডালা, তোড়া তৈরিতে।
তারা আরও জানান, মূলত বিক্রি শুরু হয় সন্ধ্যার পর। রাত ১২টার মধ্যেই অধিকাংশ ফুল বিক্রি হয়ে যায়। প্রতিটি ফুলের দোকানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। ফুল, বাঁশের চাটাই আর শোলায় তৈরি হচ্ছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের তোড়া।
ফুলের তোড়া তৈরির কাজ করছিলেন আমিনুর রহমান নামের এক কর্মী। তিনি বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে ফুলের দোকান হওয়ায় বিক্রির চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রতি বছরের এ সময়ে দোকানদাররা পুরো বছরের ব্যবসা করেন। সে কারণে কাজের চাপও বেশি। সকাল থেকে টানা তোড়ার কাজ করছি, এত কাজের চাপ যে, খাওয়ার সময়ও পাইনি।
ফুল বিক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, আমরা কিছু ফুলের ডালা বানিয়ে রেখেছি যেগুলো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করছি। আর বাকি সব অর্ডার পেয়েছি। তবে বিজয় দিবসের চেয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ফুল বিক্রি বেশি হয়।
ফুল ক্রেতা শহীদুল ইসলাম সাগর বলেন, একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি কিনতে এসেছিলাম। বরাবরের তুলনায় এবার দাম বেশি। অর্ডার দিয়ে বানাতে গেলেই এক হাজার টাকার বেশি চাচ্ছে। তাই রেডিমেড কিনে নিলাম। যাই হোক শ্রদ্ধা নিবেদন তো করতে হবে। যুদ্ধ করতে পারিনি তাই যারা জীবন দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলেই সার্থক মনে হয়।
শামীম সরকার শাহীন/এনআইবি/এমআইএইচএস