নোয়াখালী-২

নৌকার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা চাইলেন প্রার্থী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

নোয়াখালী-২ আসনে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে নৌকার প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম নিজের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে সেনবাগের কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর ১২টায় চৌমুহনী মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেন এমপি মোরশেদ আলম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ টাকার বিনিময়ে আমার মামলার আসামিদের গ্রেফতার করছে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমার নৌকার কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। হত্যাচেষ্টার মামলা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। ভোটাররা যাতে নিরাপদে কেন্দ্রে আসতে পারে সেই নিশ্চয়তা চাই।

মোরশেদ আলম আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত লোকদের সঙ্গে নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক (কাঁচি)। তাকে প্রধানমন্ত্রী হাওয়া ভাবনের লোক হিসেবে চেনেন। তিনি নৌকার বিদ্রোহী নন, তবে নিজে থেকে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি যাতে কম হয় সেই পরিকল্পনা নিচ্ছেন তারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলম বলেন, আমার দলের উপজেলা সেক্রেটারি লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক নিজেও নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। পরে জানলেন নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করে জিতবেন না তখন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিককে সমর্থন করেন।

jagonews24

আরও পড়ুন: ঋণ পরিশোধে মসজিদের সোয়া ৩ কোটি টাকা তুলে নিলেন নৌকার প্রার্থী 

এদিকে কাদরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন জানান, চাঁদপুর খলিফা তোলা এলাকায় একটি নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। এতে কার্যালয়ের পর্দা ও চেয়ার টেবিল পুড়ে যায়। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা কেউ দেখেনি।

ঘটনার খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব, সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিনসহ নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন অগ্নিসংযোগ ও পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

এমপির টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমপি সাহেব কেন এমন অভিযোগ করেছেন সেটি আমার জানা নেই।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক (কাঁচি) জাগো নিউজকে বলেন, এমপির লোকজন নিজেরা নৌকার কার্যালয়ে আগুন দিয়ে আমার সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এর আগে উনার ওপর মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে তিনি আমার নির্বাচনী প্রধান এজেন্টসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।

নৌকার প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের দুই ছেলে বেঙ্গল গ্রুপের পরিচালক শামসুল আলম সুমন ও সাইফুল আলম দিপুসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।