টানা ৬ দিন সূর্যের দেখা নেই গাইবান্ধায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

গাইবান্ধায় ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত ছয়দিন সূর্যের দেখা না মেলায় ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ জেলায় এবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২৪ ঘণ্টা আগেও জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগ নিয়ে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা বেশি আসছে। এদের মধ্যে মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর ও অ্যাজমায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

অপরদিকে হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। গবাদিপশুগুলোকে পুরনো কাঁথা, কম্বল, বস্তা, পুরনো জামা এবং যার যা আছে তাই দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে সব থেকে বেশি সমস্যায় রয়েছে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের গবাদিপশুগুলো।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের আরিফুল ইসলাম বলেন, শীতে অবস্থা খুব কাহিল। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর খুব সমস্যা। এমনিতেই অসুখে চলতে পারি না।

টানা ৬ দিন সূর্যের দেখা নেই গাইবান্ধায়

বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের হামিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ছয়দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঠাণ্ডায় ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। এ ঠাণ্ডায় জমিতে কাজ করতে যেতেও পারছি না।

কৃষক আব্দুল হাই মণ্ডল বলেন, ঠাণ্ডা বাতাসে গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরুর গায়ে চট দিয়েছি।

কিসামত সদর গ্রামের হাফিজ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, শীতে মানুষের যেমন কষ্ট হয় তার থেকে বেশি কষ্ট হয়েছে গরু বাছুরের। আমরা তো ঠাণ্ডা লাগলে বলতে পারি কিন্তু ওরা তো বলতে পারে না। তাই বস্তার চট তাদের গায়ে দিয়েছি।

টানা ৬ দিন সূর্যের দেখা নেই গাইবান্ধায়

রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিনই গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা কমে আসছে। শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান পরিস্থিতি কিছুটা কমে আরও কমপক্ষে দুদিন চলার সম্ভাবনা আছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মেঘের আনাগোনা শুরু হতে পারে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নেজারত) জুয়েল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, শীতার্ত মানুষদের জন্য জেলার সাত উপজেলায় ৪৫ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কম্বলগুলো ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ শুরু হয়েছে।

শামীম সরকার শাহীন/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।