তাপমাত্রা বাড়লেও চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বইছে মৃদু থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর থেকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নিচে নামতে থাকে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তাপমাত্রা বাড়লেও চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে মানুষ

বুধবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে ঠান্ডায় মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বাইরে বের হননি। বিভিন্ন মোড়ে ও চায়ের দোকানের পাশে শীত নিবারনের জন্য আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন শীতার্ত মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। শিশু ও বৃদ্ধরা এ শীতে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন।

তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ার পাশাপাশি হালাকা কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। মাঘের মাঝামাঝি এ শীতের তীব্রতায় নাকাল সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারের মাছ ব্যবসায়ী শ্রী অর্জুণ জাগো নিউজকে বলেন, রাত থেকে প্রচণ্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাস বইছে। মাছ ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তীব্র ঠান্ডায় হাত একদম বরফ হয়ে যাচ্ছে। বেচাকেনাও খুব একটা নেই। খুব লোকসানের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক মাসুম বলেন, রোদ উঠেছে কিন্তু বাতাসের কারণে খুব শীত লাগছে। রিকশা চালানো যাচ্ছে না।

তাপমাত্রা বাড়লেও চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে মানুষ

এদিকে তাপমাত্রা না বাড়া পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা অফিস। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আজ পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শৈত্য প্রবাহ চলায় তাপমাত্রা না বাড়া পর্যন্ত জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত আবহাওয়া অফিস ও বিদ্যালয়ের প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিদ্যালয়ে পুনরায় পাঠদান শুরু হবে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বুধবার সকাল ছয়টায় এ জেলায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ।

হোসাইন মালিক/এনআইবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।