মুক্তি পেলেন সাবেক মেয়র গউছ, ফুলের মালা দিয়ে বরণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪

প্রায় পাঁচ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এসময় কারা ফটকে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।

মুক্তির পর জি কে গউছ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলনে আমরা ছিলাম, সে আন্দোলনে আমরা আছি। আমাদের নীতি থেকে আলাদা করা যাবে না। যত মামলাই আসুক, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে না এনে আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। ১৫৪ দিন বিনা অপরাধে চারটি মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। হাইকোর্টের আদেশে আজ আমি মুক্তি পেয়েছি। আমাদের অসংখ্য মানুষ আজ দেশের কারাগারগুলোতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।’

jagonews24

অভিযোগ করে সাবেক মেয়র জি কে গউছ বলেন, ‘ডিভিশনপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সেখানে না রেখে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটক করে রাখা হয়েছে। আমার আপন খালা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার মামা মারা গেছেন। কিন্তু আমাকে তাদের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অসংখ্য মানুষের জানাজা থেকে, জুমার নামাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

পুলিশের করা কয়েকটি মামলায় গত বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ফেরার পথে জি কে গউছকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩০ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু রিমান্ড নামঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

জি কে গউছের আইনজীবী আফজাল হোসেন বলেন, চারটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মক্কেলকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাকে এমন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত মামলাগুলো মিথ্যা অনুধাবন করতে পেরে জামিন দিয়েছেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।