কবুতর ধরতে এসে খাঁচাবন্দি বাগডাশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি ‘বাগডাশ’ উদ্ধার করেছে জনতা। সম্প্রতি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার কালোপুর মহাল্লা থেকে এই বন্যপ্রাণীটি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রয়েছে বাগডাশটি। প্রাণীটিকে যত্ন করে খেতেও দিচ্ছেন তিনি।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার লাগাদপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাঘ বাগডাশটিকে একটি খাঁচাবন্দি অবস্থায় খাবার দেওয়া হচ্ছে। বাগডাশটিকে দেখতে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা। অনেকেই বলছেন এমন প্রাণী কোনোদিন দেখেননি তারা।

নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ২৬ জানুয়ারি কালোপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে ৫০টি পোষা কবুতর মেরে ফেলে প্রাণীটি। তাই স্থানীয়রা প্রাণীটিকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি এটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। খাঁচায় রেখে খাবার দিচ্ছি। কয়েকদিন থেকে বাজার থেকে মাংস এনেও তাকে খাওয়াচ্ছি। তাদের মারধরে আঘাত পেয়েছিল প্রাণিটি। তাই ওষুধ দিয়েছি। এখন অনেকটা সুস্থ।

jagonews24

তবে প্রাণীটি ঠিক কোন প্রজাতির আমি জানিনা। তাই আমি তাকে মোহরাল বলে ডাকি। আমি জন্ম থেকেই বন্যপ্রাণীদের পছন্দ করি। এর আগেও অনেক প্রাণীর যত্ন করেছি। আমি এ প্রাণীটি বাড়িতে রাখবোনা। ভাবছি রাজশাহী চিড়িয়াখানায় দিয়ে আসব। আমি বন্য প্রাণীদের কষ্ট দেখতে পারিনা তাই এটিকে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। প্রাণির যত্ন করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।

প্রতিবেশীর অলিউল ইসলাম ডলার বলেন, কয়েকদিন আগে এই প্রাণীটিকে মারধর করছিল কয়েকজন ব্যক্তি। পরে নজরুল ইসলাম চাচা বিড়ালটিকে নিয়ে এসে যত্নে রেখেছে। শুধু এটি নয় এর আগেও এমন কাজ করেছেন নজরুল ইসলাম। তিনি পশু, পাখি খুব পছন্দ করেন। তাই তাদের বাড়িতে নিয়ে এসে যত্ন করেন।

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মেদ নিয়ামুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এই প্রাণীর নাম বাগডাশ। এটিতে মানুষের কোন ক্ষয়-ক্ষতি করেনা। বরং প্রাণীটি আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। এখন খোঁজ নিয়ে আমাদের কাছে হস্তান্তর করার ব্যাবস্থা করবো।

সোহান মাহমুদ/এনআইবি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।