আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক ও আনসার সদস্য নিহত
বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো একই গ্রামের সাংবাদিক ও আনসার সদস্যের।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার মুরইল ও প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে শিবপুর নামের পৃথক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৫৬) ও আনসার সদস্য রতন (৪৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে নিজ গ্রামে পিকনিকের খাবার খেয়ে দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু তার প্রতিবেশী আতোয়ার হোসেনকে মোটরসাইকেলযোগে সাহারপুকুর বাজার এলাকায় রেখে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১১টার দিকে তিনি মুরইল বাজার অতিক্রম করে জয় ফিলিং স্টেশনের (পেট্রোল পাম্প) কাছে পৌঁছলে অজ্ঞাত কোনো ভারী যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জু নিহত হন।
এদিকে একই দিন ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে শিবপুর নামক স্থানে আনসার সদস্য রতন হোসেন বাইসাইকেল চালিয়ে আদমদীঘি সদরে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রয়ারি) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে মেজবাউল মুরসালিনের দাবি, তার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হননি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার বাবার মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘটনের দাবি জানান তিনি।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, অজ্ঞাত কোনো বাস বা ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিকের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনআইবি/এমএস
