নেত্রকোনায় পরিত্যক্ত টিউবওয়েল থেকে বেরোচ্ছে গ্যাস

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে থাকা পরিত্যক্ত টিউবওয়েল থেকে কোনো প্রকার চাপ ছাড়াই পানির সঙ্গে বেরুচ্ছে গ্যাস।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে থেকে এ দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘটনায় ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টিউবওয়েল থেকে গ্যাস বের হওয়ার খবর পেয়ে ওই গ্রামে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ছুটে এসেছেন এলাকার অনেকেই। বিষয়টি দেখে সকলেই হতবাক হয়েছেন। এলাকার লোকজনের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে এলাকার আশপাশের লোকজন একনজর দেখতে সেই বাড়িতে ভিড় করছেন।

সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রমিজা খাতুন জাগো নিউজকে জানান, তাদের বসত ঘরের পিছনের একটি টিউবওয়েল প্রায় ১০বছর ধরে অকেজো হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে তিনি নিজ বসত ঘরে অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে সকাল সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ পানির বিকট শব্দে শুনে ঘর থেকে বের হন তিনি। ঘরের পিছনে গিয়ে দেখেন চাপ ছাড়াই নষ্ট টিউবওয়েল থেকে অনবরত পানি বেরুচ্ছে। বিষয়টি ভয় পেয়ে দুপুরের দিকে ৯৯৯ এ কল দিলে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন জ্বালালে তাঁরা নিশ্চিত হন এটি গ্যাস। মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে উৎসুক মানুষের ভির জমে যায়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মুহাম্মদ আলীকে বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখানে লাল নিশানা লাগিয়ে আসছি। পাশাপাশি বাড়ির লোকজনদের সর্তক করে আসি যেন কেউ এটির আশপাশে আগুন না নিয়ে আসে। আমরা এ বিষয়ে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। তারা বাড়ির লোকজনকে সতর্ক করে এসেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে তথ্য পাঠানো হয়েছে। তথ্য মোতাবেক পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম কামাল/এনআইবি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।