পাইকগাছায় ধর্ষণ

ঘুম ভেঙে গেছে ভেবে গৃহবধূর চোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেন এনামুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গ্রেফতার এনামুল জোয়াদ্দার

খুলনার পাইকগাছায় গৃহবধূর চোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনার মূল হোতা এনামুল জোয়াদ্দারকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগরে একটি পরিত্যক্ত মাছের ডিপো থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এনামুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার গদাইপুর এলাকার বাসিন্দা একরামুল জোয়াদ্দারের ছেলে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার।

গ্রেফতার এনামুলের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, গৃহবধূর ঘুম ভেঙে গেছে মনে করে প্রথমে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন। পরে পকেটে থাকা সুপার গ্লু ভিকটিমের চোখে এবং মুখে লাগিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: চুরি করতে ঘরে ঢুকে চোখে সুপারগ্লু দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

এনামুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার মায়ের কাছ থেকে একটি চোরাই মোবাইল ও পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্ণকার সুমন হালদারের (৪০) কাছ থেকে চোরাই সোনার কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, পুলিশ ওই মামলায় ছামাদ সরদার (৪৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকটিমের স্বামী কাঁচামাল ব্যবসায়ী (৫০) গড়ইখালী হাটের উদ্দেশ্যে কাঁচামাল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ওইদিন রাতে দুর্বৃত্তরা মান্নানের একতলা পাকা বিল্ডিংয়ের চিলেকোঠার দরজা ভেঙে তার স্ত্রীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। প্রথমে ওড়না দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এরপর কানে থাকা দু আনা ওজনের সোনার দুল, গচ্ছিত ১১ হাজার টাকা ও গৃহবধূর ব্যবহৃত একটি মোবাইল নিয়ে নেন।

চলে যাওয়ার আগে আসামিরা গৃহবধূর চোখে-মুখে আঠা দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এরপর ভোরের দিকে প্রতিবেশী বৃষ্টি খাতুন ভিকটিমের গোঙানির আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে আসেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

আলমগীর হান্নান/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।