মৎস্য গবেষণার উপযুক্তস্থান নোবিপ্রবি: সারাহ গিলেস্কি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান দূতাবাসের এগ্রিকালচার এ্যাটাচি সারাহ গিলেস্কি বলেছেন, উপকূলীয় এলাকা হিসেবে মৎস্য গবেষণার উপযুক্তস্থান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স ও ইউএসডির অর্থায়নে পরিচালিত নোবিপ্রবির মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

সারাহ গিলেস্কি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নোবিপ্রবির গবেষণা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। ভৌগিলিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার অবারিত সুযোগ রয়েছে। আমেরিকান জনগণ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী।

এর আগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষ নিবিড় করতে যান্ত্রিকরণের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুন।

এতে তিনি উল্লেখ করেন, মৎস্য চাষে এ্যারেশন ব্যবহার করে মাছ উৎপাদন দেড়গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ্যারেশনের ধরন, সময় ও মাছের প্রজাতি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তিন বছর মেয়াদী এ গবেষণা সম্পন্ন হলে চাষী পর্যায়ে সুফল পৌঁছানো সম্ভব হবে। এতে কম জমিতে বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

পরে প্রতিনিধিদল ল্যাবসমূহ এবং গবেষণা পুকুর ঘুরে দেখেন। উপাচার্য অন্যান্য অতিথি ও সারাহ গিলেস্কিকে সঙ্গে নিয়ে অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ উদ্বোধন করেন। নামফলক উন্মোচন শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল আলম। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ ও রিসার্চ সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আতিকুর রহমান, রেজিস্টর জসিম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আনিসুজ্জামান, আইকিউএসির পরিচালক ড. ফিরোজ আহমেদ, লাইব্রেরিয়ান শাখায়েত হোসেন, ডিপিডি জামাল হোসেন, বিভাগের শিক্ষক, গবেষণা প্রকল্পের গবেষক ও ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

নোবিপ্রবিতে ১২টি গবেষণা পুকুর, দুটি মাঠ গবেষণাগার নিয়ে অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যাসিলিটিজ প্রধান গবেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে। অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যাসিলিটিজ গবেষক, ছাত্র-ছাত্রী সকলের গবেষণায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পরে সারাহ গিলেস্কি বিশ্ববিদ্যালয়র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ইকবাল হোসেন মজনু/এনআইবি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।