নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার, ৬ জেলের সাজা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৪:১৩ এএম, ০২ মার্চ ২০২৪

জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণে চলমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে বেআইনিভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে ছয় জেলের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন।

শুক্রবার (১ মার্চ) দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্তদের কারাদণ্ডাদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দশমিনা রণগোপালদী এলাকার জবান আলী সরদারের ছেলে মাহবুব সরদার, যৌতা এলাকার সুন্দর আলীর ছেলে আলতাফ হাওলাদার, গণি আকনের ছেলে রেজাউল আকন, নূর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে নিজাম হাওলাদার, আরজবাগী এলাকার রতন ঘরামীর ছেলে সেলিম ঘরামী ও নোমান মিঞার ছেলে আসিফ মিয়া।

অভিযানে মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা নাজমুল হাসানসহ মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাড়ে ১২ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

jagonews24

১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমসহ পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়া নদীর চর রুস্তম থেকে ভোলার ভেদুরিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় দুই মাসের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে তীরে ফিরছে অধিকাংশ জেলে নৌকা।

প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস দেশের কয়েকটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এসময় ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সব প্রকার মাছ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এসময়ে আইন অম্যান্যকারী ব্যক্তি কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

এএসএআর/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।