শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দ্বিতীয় দফায় ৬২ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার পর থেকে দ্বিতীয় দফা এ কর্মবিরতি শুরু হয়। চলবে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করবেন।

এর আগে গত শনিবার রাত ৮টা থেকে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা প্রথম দফার ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।

তাদের দাবিগুলো হলো-পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার টাকা করা। এফসিপিএস, রেসিডেন্ট, নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ, বিএসএমএমইউয়ের অধীন ১২ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা পুনরায় চালু এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন সংসদে পাস ও বাস্তবায়ন করা।

এদিকে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আন্দোলনে নামে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তারা এক ঘণ্টার মানববন্ধন করেছেন।

মানববন্ধনে শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. তৌফিক হাসান নিশাত বলেন, একজন শিক্ষার্থী পাঁচ বছর কঠোর পরিশ্রম করে চিকিৎসক হওয়ার পর রোগীর সেবা দেওয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালে ইর্ন্টান করে থাকে। এই সময়ে এসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া একরকম তামাশা। একজন চিকিৎসক এই টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালাবে নাকি পরিবারকে সহযোগিতা করবে? হাসপাতালের আউট ডোর-ইনডোর সবখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেন। তাদের ন্যূনতম ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হবে কেন। অবিলম্বে ইন্টার্নদের বেতন ভাতা ৩০ হাজার টাকাসহ অন্যান্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেন, কিছু দাবি দাওয়া আগে থেকেই ছিল। সেগুলো পূরণের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গেই কথা বলেছিলাম। কিন্তু দেখলাম ন্যূনতম দাবিগুলো পূরণ হচ্ছে না। আমরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। দাবি আদায় না হলে টানা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বগুড়া শজিমেক হাসাপাতালে ১৫০ ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। সকাল-বিকেল ও রাতের তিন শির্ফটে তারা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে দুপুর ২টার পর থেকে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ও রেজিস্ট্রার চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করে চলে যান। এরপর থেকে ইন্টার্ন চিকিসকরাই হাসপাতালে আসা সেবা প্রার্থীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। শজিমেক হাসপাতালে প্রতি ওয়ার্ডে অন্তত দুই থেকে তিনজন করে শির্ফটগুলোতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন ও সকালের শির্ফটে সব ইন্টার্নরাই চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।