অনলাইনে টিকিট

ট্রেনে এক সিটের টিকিট নিয়ে হাজির দুই যাত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৪

নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের সবচেয়ে চাহিদা বেশি রেলপথে। তাই রেলওয়ে খাতে নানারকম সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছে সরকার। টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে অনলাইনে। তবে নজরদারির অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। অনলাইনে টিকিট হলেও অসাধু একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনে। ‘ঘ’ বগির ৫নং আসনে টিকিট বিক্রি হয়েছে দুই জনের কাছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে একই টিকিট নিয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে এসে হাজির হলে একটি বগিতে সাময়িক বসার ব্যবস্থা করে দেন ট্রেনের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান।

জানা যায়, এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনের ‘ঘ’ বগিতে নির্ধারিত আসন সংখ্যা ৫০টি। দুইজন যাত্রী ট্রেনে উঠে বুঝতে পারেন, ট্রেনের ‘ঘ’ বগির ৫ নম্বর আসনের টিকিট দুইজনের কাছে। কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব যাওয়ার জন্য সামিরা আক্তার মিঠামইন থেকে নিজের মোবাইল দিয়ে অনলাইনে গত ২৫ এপ্রিল দুপুর ২টা ৫৯ মিনিটে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনের ‘ঘ’ বগির ৫ নম্বর আসনের টিকিট কাটেন।

একইভাবে করিমগঞ্জের মো. ফরিদ উদ্দিন নামের অপর যাত্রী কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব যাওয়ার জন্য নিজের মোবাইল দিয়ে অনলাইনে গত ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা ২৭ মিনিটে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনের ‘ঘ’ বগির ৫ নম্বর আসনের টিকিট কাটেন। স্টেশন মাস্টারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতির সাময়িক অবসান হলেও সংশ্লিষ্টদের কর্তব্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ট্রেনে এক সিটের টিকিট নিয়ে হাজির দুই যাত্রী

কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী রিপন মিয়া নামের এক যাত্রী জানান, এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে জনদুর্ভোগ কিছুতেই কমবে না। বিষয়টির প্রতি ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনের ‘ঘ’ বগির ৫ নম্বর আসনের টিকিট নিয়ে হাজির মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব যাওয়ার জন্য ‘রেলসেবা’ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টিকিট ক্রয় করি। আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে এসে ট্রেনে উঠে দেখি আমার ৫ নং সিটে অন্য এক যাত্রী বসে রয়েছেন। এই আসনটি আমার এই তথ্য তাকে জানালে তিনিও তার টিকিট বের করেন। পরে দেখতে পাই একই আসনের দুই টিকিট আমাদের দুইজনের কাছে বিক্রি করেছে। বিষয়টি নিয়ে স্টেশন মাস্টারের শরণাপন্ন হলে স্টেশন মাস্টার আমাদেরকে এই আসনসহ অন্য আরেক আসনের মাধ্যমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, একই আসনের দুইটি টিকিট নিয়ে দুই দুজন যাত্রী আমার কাছে এলে তাদেরকে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দেয়। তবে তারা অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করেছেন। বিষয়টি অনলাইন সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে তারা ভুল করেছে।

এসকে রাসেল/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।