ময়মনসিংহে ৩ দিনে তিনজনের মৃত্যু, ধারণা ‘হিট স্ট্রোক’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
ফাইল ছবি

ময়মনসিংহে তিন উপজেলায় তিনদিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত জেলার গফরগাঁও, ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর উপজেলায় এ তিনজনের মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মৃতের পরিবার সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যার পর উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের আফাজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে ফজলুল হক ঢালী (৫৬) বাজার করে বাড়িতে ফিরে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন ফজলুল হক সেখানে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। পরে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ফজলুল হক ঢালির মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে, অতিরিক্ত গরমে এমনটা হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সুটিয়া বাজারের রমজান খলিফা (৫৫) নিজের দোকানে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ শরীর খারাপ লাগছে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা টের পেয়ে মাথায় পানি দিতে শুরু করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। রমজান খলিফা তিনি একই ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, হঠাৎ করেই রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে, হাসপাতালে নেয়া হয়নি বা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফুলপুর উপজেলায় কয়রা ইউনিয়নের ইমাতপুর গ্রামে শিল-পাটা কাটার কাজ করছিলেন রমজান আলী। হঠাৎ সেখানে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রমজান আলী তারাকান্দা উপজেলার ৩ নম্বর কাকনী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বগীরপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে।

তারাকান্দা বগীপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার তরিকুর রহমান খন্দকার রাশেদ বলেন, রমজান আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে মসলা বাটার শিল-পাটায় ধার দিতেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে পাশের ফুলপুর উপজেলার ইমাতপুরে যান। সেখানে কাজ করা অবস্থায় দুপুরে প্রচণ্ড গরমে স্ট্রোক করে মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ন কবীর জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রমজান আলীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা যায়, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে বা অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।