শুল্ক জটিলতায় মোংলা বন্দরে আটকা ২০ অ্যাম্বুলেন্স
মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া অ্যাম্বুলেন্স কাস্টম হাউজের শুল্ক জটিলতায় ছাড় হচ্ছে না। এ কারণে মোংলা বন্দরে পড়ে আছে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স। সেগুলো বের করতে পারছে না বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা)।
মোংলা কাস্টম হাউজ বিভিন্ন জটিলতা দেখিয়ে গাড়িগুলোর শুল্কায়ন করছেন না। এজন্য আমদানি করা অ্যাম্বুলেন্সের ওপর ১৭ গুণ শুল্ক জরিমানা দিয়ে খালাস করানোর জন্য চাপ দিচ্ছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বারবিডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাঁচটি শর্ত পূরণ করে মোংলা বন্দরে অ্যাম্বুলেন্স আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে নিবন্ধনের পর সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে শর্তানুযায়ী নিবন্ধন সংক্রান্ত দলিলাদি কাস্টম হাউজে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে আমদানি হওয়া অ্যাম্বুলেন্স ছাড় করছে না।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোংলা কাস্টম হাউজ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মঙ্গলবার (৭ মে) দুই দফা বৈঠক করেছে বারবিডা।

বৈঠক উপস্থিত গাড়ি আমদানিকারকরা বলেন, অ্যাম্বুলেন্স আমদানি, বিপণন ও নিবন্ধন পর্যায়ে প্রদত্ত শর্তগুলোর কারণে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। শুল্ক কর্তৃপক্ষের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি আলোচনা সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতের জন্য বিপুল বিনিয়োগের আমদানি করা রিকন্ডিশন্ড অ্যাম্বুলেন্সের শুল্কায়ন বন্ধ রাখা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।
এ বিষয়ে মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সম্প্রতি অ্যাম্বুলেন্স আমদানির ঘোষণায় এমন কিছু গাড়ি আনা হয়েছে যেগুলো পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। এরমধ্যে নোহা এবং ভক্সি মডেলের গাড়ি রয়েছে। সে বিষয়ে কাস্টমস এবং সরকারের দুটি সংস্থা তদন্ত করছে। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত না হলে আমদানি হওয়া অ্যাম্বুলেন্স ছাড় দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরে অ্যাম্বুলেন্সসহ ১০২৩টি গাড়ি শুল্কায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। গত দুমাস ধরে সেগুলোর শুল্ক কর দিচ্ছেন না আমদানিকারকরা। এসব গাড়ি এখন নিলামযোগ্য হয়ে গেছে। তবে আইন মেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা এবং শুল্ক কর দিলে কায়িক পরীক্ষা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব গাড়ি শুল্কায়ন করা হবে।
আবু হোসাইন সুমন/এসআর/এএসএম