ন্যায়বিচার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। দেশের সংবিধান এটি নিশ্চিত করেছে। আদালতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আসেন।
শনিবার (১৮ মে) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সবধরনের সেবা ও সুবিচার নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে (টেকনাফে) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট করছে। এ ইনস্টিটিউটকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যাতে সারাদেশের নাগরিকেরা সহজে এর সুফল ভোগ করতে পারে।
এসময় সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিভাগের সদ্য সাবেক বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, আদালত প্রাঙ্গণে প্রায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ন্যায়কুঞ্জের কাজটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। নির্মাণাধীন ন্যায়কুঞ্জের আয়তন এক হাজার বর্গফুট। অত্যাধুনিক নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে ডিজাইন করা সুপরিসর আধুনিক বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জে একত্রে ৬০-৭০ জন বিচারপ্রার্থীর বসার জায়গা থাকবে। এছাড়া ওয়াশরুম, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ফাস্টফুডের দোকান, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থাসহ বহুমুখী সুবিধা থাকবে।
এরআগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের শীলখালীতে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি। মেরিন ড্রাইভের পাশেই তিন একর ৩৪ শতক বরাদ্দ পাওয়া জমিতে নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্বলিত একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
যেখানে থাকবে গবেষণাধর্মী বিচারিক তথ্য-উপাত্ত, প্রাচীনকালের বিচার ব্যবস্থার নিদর্শন ও ইতিহাস সমৃদ্ধ মিউজিয়াম, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকদের গবেষণায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা। গবেষণায় নিয়োজিতদের জন্য থাকবে আবাসন ব্যবস্থা, রিসোর্ট ও রেস্ট হাউস।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি হবে দেশের প্রথম এবং একমাত্র আইন, আদালত ও বিচারবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রাজধানীর বাইরে এটি হবে প্রথম একটি আধুনিক স্থাপনা।
সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/জেআইএম