শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ২৭ জুন ২০২৪

চাকরি জীবনের শেষদিনে রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষককে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার জেআই টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স পদের শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

কলেজ সূত্র জানায়, বিদায়ী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের রুপাখাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০০১ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ পেয়ে ২০০২ সালের ৩ জানুয়ারি কলেজের বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন।

কলেজের অধ্যক্ষ সোলায়মান হোসেন কবির বলেন, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম একজন মেধাবী ও দায়িত্বশীল শিক্ষক ছিলেন। চাকরি শেষে নিজ প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের রেখে চলে যাওয়া খুবই কষ্টের। আর এ কষ্ট কিছুটা লাগব করার জন্য আমরা এ ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছি। তার বিদায় আমাদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখতে ছয়টি সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ির বহর নিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।

চাকরি জীবনের শেষদিনে রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষককে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন

এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো কোনো শিক্ষককে এভাবে বিদায় দেওয়া হলো বলে জানান তিনি।

বিদায়ী শিক্ষকের সহকর্মী মির্জা ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, রফিকুল ইসলাম স্যার ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। এমন শিক্ষক আর হয়তো আমরা পাবো না। স্যারের নীতি-আদর্শকে সামনে রেখে আমরা আমাদের কলেজের কার্যক্রম চালাবো।

বিদায়ী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, চাকরিজীবনে আমি তেমন ছুটি নেইনি। নিয়মিতই কলেজে গেছি। সব সময় চিন্তা ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়ে। হঠাৎ কোনো ক্লাসের শিক্ষক না এলে আমি নিজেই ক্লাস নিয়েছি। কোনো দিন অনিয়ম করিনি। শিক্ষার্থীদের সব সময় নিজের সন্তানের মতো শিক্ষা দিয়েছি। সব সময় চেয়েছি, শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যাতে শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারি।

এম এ মালেক/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।