অফিসের জন্য বের হয়ে গুলিবিদ্ধ
চার হাসপাতাল ঘুরেও বাঁচানো গেলো না সেলিমকে
তিন বোন, আর এক ভাইয়ের মধ্যে সেলিম তালুকদার মেজ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বছর খানেক আগে বিয়ে করেন। কিন্তু তার এই চলার পথ দীর্ঘায়িত হয়নি। ১৮ জুলাই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলির ক্ষত নিয়ে ১৫ দিন হাসপাতালের বেডে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত সেলিমের বাবা সুলতান তালুকদার জানান, ঘটনার দিন সেলিম বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন তিনি। এসময় মাথায়, বুকে ও পিঠে তার গুলি লাগে। ফুসফুসেও লাগে গুলি। চার হাসপাতাল ঘুরে শেষে ধানমন্ডির পপুলারে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লাশ নেওয়া হয় বাড্ডা লিংক রোডের বাসায়। সেখানে প্রথম জানাজা হয়। পরে শুক্রবার সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি নলছিটিতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে রাত আড়াইটার দিকে তার মরদেহ বাড়ি পৌঁছলে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় তার স্ত্রী, আত্মীয় ও সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহত সেলিম বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে দুই বছর আগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডায়িং মিলস লিমিটেডে সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন।
আতিকুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস