লক্ষ্মীপুর

কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নাগমুদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বিএনপি নেতা কবির পাটোয়ারী, আহাম্মেদ তফু, অহিদ উল্যা, যুবদল নেতা রাজু পাটোয়ারী, শাহাদাত পাটোয়ারী, সিরাজ মিয়া, ছাত্রদল নেতা শরীফ হোসেন, মিরাজ হোসেন, সিয়াম, ফারুক হোসেন, মো. ফাহিম ও শাকিল। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্তির ঘটনা নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরমান হোসেন রাকিব ও সদস্য ফাহিম চৌধুরীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে। এতে সোমবার ফাহিম ইউনিয়ন পরিষদের আসলে রাকিবের অনুসারীরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় বিকেলে ছাত্রদলের একাংশ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। ওই সভায় রাকিবের পদত্যাগের দাবি উঠে। এর জের ধরে বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ভোলাকোট ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরমান হোসেন রাকিব বলেন, ১,২ ও ৬ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করায় একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালায়। এখন আবার আমার বিরুদ্ধে ফাহিম মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।

ভোলাকোট ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল খায়ের মুকসুদি বলেন, ছাত্রদলের একাংশ প্রতিবাদ সভা করেছে। আমরা সেখানে ছিলাম। সেখান থেকে চলে আসলে পরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুই পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য দলের সিনিয়র নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন।

কাজল কায়েস/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।