গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পেল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ২ প্রতিষ্ঠান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ২৪ জুন ২০২৫
উজমা চৌধুরীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন ও আদিলুর রহমান খান

গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড বা পরিবেশবান্ধব কারখানা পুরস্কার পেয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠান দুটির শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

মঙ্গলবার ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা-২০২০’ এর আওতায় ১৬টি খাতের ৩০টি শিল্প-কারখানাকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নরসিংদীর পলাশের চরকা টেক্সটাইল লিমিটেড তৈরি পোশাক (নিট) খাতে পুরস্কার পেয়েছে। চরকা টেক্সটাইলের নির্বাহী পরিচালক শাহীন শাহ আজাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন ও আদিলুর রহমান খান। এ ক্যাটাগরিতে আরও পুরস্কার পেয়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইকোটেক্স লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ফকির ফ্যাশন লিমিটেড।

খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে পুরস্কার পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (কর্পোরেট ফিন্যান্স) উজমা চৌধুরীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন ও আদিলুর রহমান খান। ধামরাইয়ের আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে পুরস্কার পেয়েছে।

পুরস্কার হিসেবে একটি ক্রেস্ট, সনদ এবং এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

যে অবদানে পুরস্কার পেল ২ শিল্পপ্রতিষ্ঠান
চরকা টেক্সটাইলের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, চরকা টেক্সটাইল বাংলাদেশের একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর এবং সম্পূর্ণ রপ্তানিমুখী নিট গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, যা ২০১৩ সালে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা, কাজীরচর এলাকায় অবস্থিত এবং এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। চরকা টেক্সটাইল নিট কাপড় থেকে পোশাক তৈরি করে থাকে এবং এর শতভাগ পণ্যই আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়।

প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী কাজ করছেন, যারা প্রতিদিন গুণগত মান বজায় রেখে বিশাল পরিমাণ পোশাক উৎপাদনে ভূমিকা রাখছেন। আধুনিক মেশিনারিজ, স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা এবং সম্পূর্ণ ভার্টিক্যালি ইন্টিগ্রেটেড কাঠামোর মাধ্যমে চরকা টেক্সটাইল দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত উৎপাদন নিশ্চিত করে। বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ডগুলোর জন্য পণ্য উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় চরকার প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য। গুণ, নৈতিকতা ও টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে চরকা টেক্সটাইল বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে এগিয়ে নিতে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

হবিগঞ্জ এগ্রোর অবদানের বিষয়ে বলা হয়েছে, এটি হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ খাদ্য ও প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠান, যা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর এলাকায় অবস্থিত এই আধুনিক কারখানাটি দেশের খাদ্যশিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে কারখানাতে ৭ হাজার ৩২৮ জন শ্রমিক কর্মরত। এখানে উন্নত প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিস্কুট, কেক, পাস্তা, রুটি, জুস, কার্বনেটেড পানীয়সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদিত হয়, যা দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি ১৪৫টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া এইচএসিসিপি, আইএসও আইএমএস, হালাল, বিআরসিসহ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হয়, ফলে স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে পণ্যগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ও চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশকে খাদ্যশিল্পে বৈশ্বিকভাবে তুলে ধরতে হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো লিমিটেড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বলে জানানো হয়েছে।

আরএমএম/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।