মেয়ের পর ছেলেটিও চলে গেলো, বুক খালি হলো বাবা-মায়ের

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪২ এএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
বাবা-মায়ের সঙ্গে নাজিয়া ও নাফি/ছবি সংগৃহীত

ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিল নাজিয়া ও তার ছোট ভাই নাফি। দগ্ধ অবস্থায় অবর্ণনীয় কষ্টে ভুগে আগেই মারা গেছে বোন নাজিয়া। এবার না ফেরার দেশে চলে গেল ভাইও। একসঙ্গে দুই সন্তান হারিয়ে বুক খালি হয়ে গেলো বাবা-মায়ের।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ১০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাফির।

নাজিয়া ও নাফি উত্তরার কামারপাড়ার আশরাফুল ইসলাম নীরের সন্তান। নাজিয়া মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ও নাফি প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আমাদের এখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নাফি (৯) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে সোমবার রাত ৩টার দিকে তার বোন নাজিয়া মারা যায়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ বার্ন হয়েছিল। 

তিনি আরও জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অর্ধশতাধিকের বেশি দগ্ধ অবস্থায় এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে জাতীয় বার্নে ১১ জন ও ঢাকা মেডিকেল একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার পর জানিয়েছিল, দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ৩১ জনের মৃত্যু ও ১৬৫ জন আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে।

কাজী আল-আমিন/এএমএ/এমএমএআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।