শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন চলছেই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫
দরপতনের ফলে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা/ প্রতীকী ছবি

দিনের পর দিন দেশের শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। দরপতনের সঙ্গে বাজারে লেনদেনের গতিও কমে এসেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১২ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের ব্যবধানেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। লেনদেনের শেষদিকে ভালো-মন্দ সব খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ঢালাও দরপতন হয়।

ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৪৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩১১টির। এছাড়া ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৫টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ৭০টির দাম কমেছে এবং একটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৮টির দাম কমেছে এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৯৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, রবি, সোনালী পেপার, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট এবং রহিমা ফুড।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৭টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এমএএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।