করোনায় আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ, কিস্তির টাকা মাফ নেই
‘আইসক্রিম বিক্রি করতে নিষেধ করেছে পুলিশ। এদিকে এনজিওকর্মীরা বাড়িতে এসে বসে আছে। তাদের কিস্তির টাকা দিতে হবে। আমি এখন টাকা পাব কোথায়?’ এভাবে দুঃখের কথাগুলো বলেছেন সাতক্ষীরার আগড়দাড়ি ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম।
তিনি বলেন, এনজিও নওয়াবেকী ফাউন্ডেশন থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে আইসক্রিম ব্যবসা শুরু করেছি। এরই মধ্যে করোনার কারণে আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বাড়িতে থাকতে বলেছে। আইসক্রিম বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন টাকা নেই। সপ্তাহে এক হাজার টাকা কিস্তি। এনজিওর লোকজন বলছেন, কিস্তির টাকা দিতেই হবে, মাফ নেই।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি গ্রামের ভাদড়া গ্রামে দেখা যায় এমন চিত্র। বিছানা পেতে, খাতাপত্র নিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন এনজিও সংস্থা নওয়াবেকী ফাউন্ডেশনের মাঠকর্মী আলমগীর হোসেন ও আগরদাড়ি শাখার ম্যানেজার মনিরুজ্জামান।
কিস্তি আদায়কারী দুই এনজিওকর্মীর সামনে মোনিনুর রহমান নামের অপর একজন বলেন, মানুষের এখন কাজ নেই। আমরা টাকা দেব কোথায় থেকে। সরকার বাড়িতে থাকতে বলেছে। এনজিওরা কিস্তি আদায় করছে। সরকারের কাছে আপাতত কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য অনুরোধ করছি।
তবে এসব কিছু মানতে নারাজ এনজিওকর্মী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের এনজিও অফিস থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাজ টাকা আদায় করা, আমরা সেটা করছি। নির্দেশনা আসলে বন্ধ করে দেব।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এনজিও পরিচালকদের সঙ্গে আমাদের এখনও মিটিং হয়নি। তাদের আপাতত এক মাস কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য বলা হবে।’
আকরামুল ইসলাম/এএম/এফআর