গালফ ফুড ফেয়ারে প্রাণ, বিশ্বে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ছে

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ০২ মার্চ ২০২১

করোনাভাইরাসের মধ্যেও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খাদ্যপণ্যের মেলা গালফ ফুড ফেয়ারে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ। বিশেষ করে এবারের মেলায় প্রাণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিস্কুট, নুডলস ও কনফেকশনারি পণ্যের ক্রয়াদেশ বেশি পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে পাঁচ দিনব্যাপী গালফ ফুড ফেয়ার-২০২১ শেষ হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। মেলায় বিশ্বের ৮৫টি দেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করে।

এবারের মেলায় প্রাণ ৩.৫ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। এই ক্রয়াদেশ এসেছে ৭৬টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশে বেশি ছিল প্রাণ-এর বিস্কুট, নুডলস এবং কনফেকশনারি পণ্য। এর পরিমাণ ছিল মোট পণ্যের প্রায় ৫০ শতাংশ।

jagonews24

এছাড়া করোনাকালে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রাণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্যের সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছে। এ কারণে মেলায় আগত আমদানিকারকরা প্রাণ’কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।

প্রাণ এক্সপোর্ট-এর নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, প্রাণ এ মেলায় ইউরোপের জার্মানি ও ইংল্যান্ড, আফ্রিকার ঘানা, মালি ও দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেন থেকে বেশি ক্রয়াদেশ পেয়েছে।

তিনি বলেন, মেলায় প্রাণ-এর প্যাভিলিয়নে ১০ ক্যাটাগরিতে পাঁচ শতাধিক পণ্য প্রদর্শন করা হয়। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল- জুস ও বেভারেজ, কনফেকশনারি, স্ন্যাকস, বিস্কুট ও বেকারি, কুলিনারি, মসলা, ডেইরি ও ফ্রোজেন ক্যাটাগরির পণ্য।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাণ গালফ ফুড ফেয়ারে অংশ নিয়ে ক্রেতাদের খুব ভালো সাড়া পেয়েছে। বিশ্বে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ব্যাপক বাজার রয়েছে। প্রাণ চেষ্টা করছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে প্রাণ নিয়মিতভাবে পণ্য রফতানি করছে।

গালফ ফুড ফেয়ার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রাণ-এর স্টল পরিদর্শন করেন এবং মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এমআরএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।