৫০ ভাগ কর্মী দিয়ে চলবে ব্যাংক!
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে ‘জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৫০ ভাগ জনগণ দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী বা অসুস্থ এবং ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্ম সম্পাদন গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।’
কভিড-১৯-এর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপন মতে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ ব্যাংকের করণীয় বিষয়ে এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। আগামী দুই সপ্তাহ এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
এসব নির্দেশনার মধ্যে ৬টি, অর্থাৎ (ক), (চ), (ড),(ণ) এবং (দ) যথাযথভাবে পালন করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ‘ঢ’ ক্রমিকে বর্ণিত সিদ্ধান্ত পালনের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এর বিদ্যমান পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনকরতঃ জনবলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে/জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।’
‘করোনায় আক্রান্ত বা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানাগুলো ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী, অসুস্থ, বয়স ৫৫-ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।’
ইএআর/জেডএইচ