ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনায় মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ ৫০ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২১
ফাইল ছবি

ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মারা গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা পাবেন।

একইসঙ্গে ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমান পদমর্যাদার কর্মকর্তারা সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে এই ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয় করা যাবে না।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিম্নরূপে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে তার স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মাকে দিতে হবে।

কে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন তা তিনটি ধাপে সার্কুলারে বর্ণনা করা হয়েছে:

ধাপ-১ : প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পাবেন ৫০ লাখ টাকা।

ধাপ-২ : ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমান হতে ধাপ-১ এর পূর্ব পর্যন্ত পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পাবেন ৩৭.৫০ লাখ টাকা।

ধাপ-৩ : স্টাফ ও সাব-স্টাফরা (যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগকৃত/নিয়োজিত) পাবেন ২৫ লাখ টাকা।

এতে বলা হয়েছে, ক্রমিক ২ এ বর্ণিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে উক্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ সমন্বয় করা যাবে না। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমানে প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নীতিমালায় বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা/অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।

এ সার্কুলার লেটারের নির্দেশনা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির তারিখ থেকে অর্থাৎ ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ১৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৮ এর ৩(গ) এবং ৪ ক্রমিকে বর্ণিত নির্দেশনার কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইএআর/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।