মেঘ দেখলেই কপালে ভাঁজ পড়ে ফুটপাতের দোকানিদের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ১২ জুন ২০২১

‘তাড়াতাড়ি পলিথিন বের কর। আরে এটা না লম্বা দড়িটা কই। এক্ষুনি বৃষ্টি নামবো। দ্রুত ছাউনি টানাতে না পারলে সব মালামাল ভিইজ্যা শেষ অইবো।’ গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) সরকারি ছুটির দিন বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেটের দুই নম্বর গেটের (বলাকা সিনেমা হলের বিপরীত দিকে) অদূরে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের একজন আকাশে মেঘ দেখে এভাবেই কর্মচারীকে দ্রুত প্লাস্টিকের পলিথিন দিয়ে ছাউনি দেয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছিলেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে অন্যান্য দিনের চাইতে ক্রেতা সমাগম বেশি থাকে। গতকালও এর ব্যতিক্রম ছিল না। বিকেলে মার্কেটে বেশ ভালো ক্রেতাসমাগম দেখা যায়। ক্রেতারা ফুটপাতের দোকান থেকে পণ্য কেনায় ব্যস্ততার মাঝেই আকাশে মেঘ দেখে বেচাকেনা বাদ দিয়ে প্রতিটি দোকানি পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন।

ব্যবসায়ী সাজু মিয়া জানান, নিউমার্কেটে সামনে ফুটপাতে মাসিক অনেক টাকা ভাড়া (তাদের ভাষ্য অনুসারে ক্ষেত্রেবিশেষে অনেক মার্কেটের দোকানের চেয়ে বেশি ভাড়া) দিয়ে ব্যবসা করেন। করোনার কারণে এমনিতেই বেচাকেনা আগের চেয়ে কমে গেছে। তদুপরি এই সময়ে যখন তখন বৃষ্টি নামার কারণে অনেক সময় মালামাল ভিজে একাকার হয়ে যায়। এ কারণে আকাশে মেঘ দেখতেই তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। সকলেই বেচাবিক্রি ফেলে পলিথিন দিয়ে ছাউনি তৈরি করে মালামাল রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

jagonews24

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, হঠাৎ করে আকাশে কালো মেঘ জমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করলে নিউমার্কেটের ভেতরে পলিথিনের ছাউনি টানাতে দোকানিদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়। অনেকেই ছাউনি টানানোর আগেই বৃষ্টি নামে। ফলে মালামাল ভিজে যায়। কেউ কেউ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই মালামাল বেচাকেনা করতে থাকেন।

সিরাজ মিয়া নামে একজন বিক্রেতা জানান, শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতাসমাগম বেশি থাকে। করোনার কারণে আগের মতো প্রতিদিন বেচাকেনা হয় না। তাই অল্প লাভেই কারো কারো কাছে মাল বিক্রি করে দেন।

তবে নিউমার্কেটের প্রকৃত ব্যবসায়ী-দোকানিদের অনেকে জানান, তাদের চাইতে ফুটপাতের দোকানিদের বেচাকেনা ভালো। প্রকৃত মালিকদের অনেকেই দোকানের সামনের অংশে অর্থাৎ ফুটপাতে মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে দোকান বসান বলে স্বীকার করেন তারা। তবে ফুটপাতে কিক্রি বেশি হলেও নিউমার্কেটে হাটা-চলার জায়গা বেশি থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরেফিরে পছন্দের মালামাল কিনতে পারেন।

এমইউ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।