আটায় নেই স্বস্তি, এক বছরে দাম বেড়েছে ৭৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২২
ফাইল ছবি

বাজারে আটার দামে স্বস্তি নেই। বর্তমানে ৬৫ টাকার নিচে মিলছে না খোলা আটা। অথচ গত বছর এই আটার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে যা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ।

শুধু আটা নয়, একইভাবে ময়দার দাম বেড়েছে। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা গত বছর একই সময়ে ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে ছিল।

আটা-ময়দার বাজারে এই অস্থিরতার পেছনে ব্যবসায়ীরা গমের সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন। এছাড়া এলসি খোলার সমস্যা তো রয়েছেই। এরমধ্যে আবার গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট পরিস্থিতি আরও কঠিন করেছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যে, এক বছরের ব্যবধানে বাজারে আটার দাম ৭৯ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া বছর ব্যবধানে ময়দার দাম ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৬ শতাংশ।

এ বাড়তি দামের পরও রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় চাহিদা অনুসারে মিলছে না আটা-ময়দা। কোথাও আটা পাওয়া গেলে ময়দার দেখা নেই। আবার কোথাও কোনটিই পাচ্ছেন না ক্রেতারা।

দোকানিরা বলছেন, প্যাকেটজাত আটার সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে খুচরা ব্যবসায়ীরা ডিলারদের কাছ থেকে যেসব আটা ও ময়দা সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলোই বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে খোলা আটা-ময়দার চড়া দামের কারণে অনেকে রাখছেন না।

রাজধানীর রামপুরার শামসু স্টোরের শামসুল হক বলেন, পাইকারি পর্যায়ে খোলা আটার বস্তা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ১০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি কেনা পড়ছে ৬২ টাকা। তারপরও দুই বস্তা অর্ডার দিলে মিলছে এক বস্তা। কোনো কোনো কোম্পানির তো আটাই নেই।

এ দোকানে খুচরায় ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আটা। আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। তবে খোলা ও প্যাকেটজাত কোনো ধরনের ময়দা নেই গত তিনদিন ধরে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, গমের সরবরাহ সংকট চলছে। এলসি খুলতে সমস্যা। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট তো আছেই। সব মিলিয়ে বাজারে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এনএইচ/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।