স্বল্পসময়ে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পরিকল্পনা

ইসমাইল হোসাইন রাসেল
ইসমাইল হোসাইন রাসেল ইসমাইল হোসাইন রাসেল
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৩
গত এক দশকে দেশে দুধ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে

দুধ উৎপাদনে দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব না হলেও বিগত এক দশকে উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ গুণেরও বেশি। এসময়ে দৈনিক জনপ্রতি দুধের চাহিদাও বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ। দুধের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারব্যবস্থা জোরদারকরণ, দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণসহ স্কুলফিডিংয়ের মাধ্যমে দুধপানের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বল্প সময়ে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

বিশ্বের ৪০ শতাংশ দুধ উৎপাদন হয় এশিয়া মহাদেশে। এর মধ্যে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও রাশিয়া। তবে এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য কোনো অবস্থান নেই বাংলাদেশের।

jagonews24

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধির জন্য গবেষণার উন্নয়নসহ নানা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। প্রান্তিক খামারিদের দুধের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তাদের সরাসরি বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এজন্য ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টার ও ডেইরি হাব স্থাপন করা হচ্ছে। মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিদের প্রণোদনা, উপকরণ সহায়তা, কর অব্যাহতিসহ নানা সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।

এছাড়া দেশের ডেইরি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। একই সঙ্গে পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নে পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ খাতে আরও অধিক উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খামার যান্ত্রিকীকরণসহ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশকে দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে (৪২৮০ কোটি টাকা) ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, মার্কেট লিংকেজ, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, পশুবিমা চালুকরণ এবং দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যের ভোক্তা সৃষ্টির কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দুগ্ধশিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দূরে নয়

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চাই খামারিরা যেন নিশ্চিত হতে পারে যে তাদের উৎপাদিত দুধ নিজেরাই বিক্রি করতে পারবে। সে সুযোগ তৈরি হলে খামারিরা উৎপাদনও বাড়াবে। উৎপাদিত দুধ যদি সহজে ও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারে তখন তো তারা উৎপাদনে আগ্রহ হারায়। সেজন্য আমরা পাঁচ হাজার ৫০০ গ্রুপ তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে আমাদের এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুধের যে পরিমাণ দেশজ চাহিদা, আগামী দিনে তা আরও বাড়বে। আমরা এখনকার চাহিদার ভিত্তিতে কাজ করছি না। আমরা কাজ করছি ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে। দুধ পাওয়া যায় না- এমন পরিস্থিতি তো আমাদের সৃষ্টি হয়নি। ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় ক্রেতা বাড়ছে, মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোর কথা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি।

বছরব্যাপী প্রাণিসম্পদ খাতের সাফল্য

মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সবার জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কার্যকর ভূমিকা রাখা, উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে অব্যাহত ভূমিকা রাখছে। করোনা সংকটের মধ্যেও দেশে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং দুধ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ২২ দশমিক ৮৬ লাখ মেট্রিক টন, ১০ দশমিক ৮৪ লাখ মেট্রিক টন এবং ৪৬৯ দশমিক ৬১ কোটি, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে যথাক্রমে ১৩০ দশমিক ৭৪ লাখ মেট্রিক টন, ৯২ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২৩৩৫ দশমিক ৩৫ কোটিতে উন্নীত হয়ছে। বিগত এক যুগে প্রাণিজ আমিষের প্রধান উৎস দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন যথাক্রমে প্রায় চারগুণ, ছয়গুণ ও তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিমের প্রাপ্র্যতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিগত চার-পাঁচ বছর ধরে ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি ছাড়া দেশীয় গবাদিপশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে (২০২১-২২ অর্থবছরে) জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ উপখাতের অবদান ১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। মোট কৃষিজ জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ ও আর্থিক মূল্যে যার পরিমাণ ৬৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা।

jagonews24

আরও পড়ুন: দুধ নিয়ে বিপাকে সিরাজগঞ্জের খামারিরা!

এছাড়াও ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশ ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ ও ছাগল মাংস উৎপাদনে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশে ২ দশমিক ৬৪ কোটির বেশি ছাগল রয়েছে।

প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে টিকা উৎপাদন বৃদ্ধি ও এর প্রয়োগ বাড়ানো হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩২ দশমিক ০৫ কোটি টিকা উৎপাদন করেছে এবং ৩১ দশমিক ৯২ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করেছে।

নিরাপদ ও মানসম্মত দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মানের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মাননিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। গবাদিপশুর সুষম খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতে টিএমআর (টোটাল মিক্সড রেশন) প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

বিনা টাকায় খামারির কাছে যাচ্ছে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক

খামারির দোরগোড়ায় পশুর চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে দেশের ৬১ জেলার ৩৬০টি উপজেলায় চালু হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিক। ফলে পশুর চিকিৎসায় খামারির দোরগোড়ায় চিকিৎসকসহ পৌঁছে যাচ্ছে এই ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক। এজন্য ব্যয় করতে হয় না কোনো অর্থ, বিনামূল্যেই সেবাটি পাওয়া যাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ৬১টি উপজেলার খামারিদের দোরগোড়ায় আধুনিক ও জরুরি প্রাণী চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে ৩৬০টি উপজেলায় এটি চালু হবে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় এ সেবা পরিচালিত হচ্ছে। প্রাণীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সার্ভিসগুলোর সমন্বয়ে একটি গাড়ি কাস্টমাইজ করে পেছনের অংশে একটি স্টিলের বক্স রয়েছে পোর্টেবল মেশিনগুলো এ গাড়িতে থাকে। গাড়ির গায়ে লেখা রয়েছে ‘মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক’। গাড়ির মাঝের অংশে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জনকে নিয়ে বসেন। সামনে চালকের পাশে একজন কম্পাউন্ডার বা ড্রেসার থাকেন। গাড়িতে জরুরি সেবার মেশিন যেমন রয়েছে তেমনি ওষুধও রয়েছে, যেন প্রয়োজন হলে চিকিৎসক তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে পারেন।

আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের মধ্যে দুধের চাহিদা মিটিয়ে রফতানির আশা

সার্বিক বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা তৈরি, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে প্রাণিসম্পদ খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশে দুধের টেকসই উৎপাদনের জন্য গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের যথাযথ বাজার ব্যবস্থাপনা, দুগ্ধজাত পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার বিষয়ে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দুধ উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বৃদ্ধি করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, দুধের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সহজীকরণ, বাজারের সঙ্গে খামারিদের সরাসরি সংযুক্তকরণসহ এর বহুমুখী ব্যবহারে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশের ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খামারিদের বাজার সংযোগ, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন এবং দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যের ভোক্তা সৃষ্টির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত দুধের সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দুধ সংরক্ষণের জন্য খামারিদের কুলিং সিস্টেম প্রদান করা হচ্ছে। সারাদেশে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। স্থাপন করা হচ্ছে ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টার।

jagonews24

আরও পড়ুন: চাষের মাছ উৎপাদনে সেরা তিন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

‘এ সেন্টারে খামারিরা ন্যায্যমূল্যে দুধ বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও তৈরি করা হচ্ছে ডেইরি হাব। এই ডেইরি হাব থেকে দুধ প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য আকারে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। তাছাড়াও মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অধিক দুধ উৎপাদনশীল মহিষের কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ কার্যক্রম দেশব্যাপী চলমান।’

মন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, জাত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কারণে দেশে দুধের উৎপাদন চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে জনপ্রতি দুধের প্রাপ্যতা। শুধু দুধের উৎপাদনই নয় বরং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে গবাদিপশুর লালন-পালন ও নিরাপদ দুধ উৎপাদনের জন্য আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত খামার ব্যবস্থাপনায় সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। খামারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের মাননিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।

এ গবেষণাগার নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ দুধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আশা করছি স্বল্পসময়ে দুধের উৎপাদন এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যে আমরা নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে দুধ এবং এগুলো থেকে তৈরি করা নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবো।

আইএইচআর/ইএ/জিকেএস

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুধের যে পরিমাণ দেশজ চাহিদা, আগামী দিনে তা আরও বাড়বে। আমরা এখনকার চাহিদার ভিত্তিতে কাজ করছি না। আমরা কাজ করছি ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে। দুধ পাওয়া যায় না- এমন পরিস্থিতি তো আমাদের সৃষ্টি হয়নি

স্বল্প সময়ের মধ্যে দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশে দুধের টেকসই উৎপাদনের জন্য গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের যথাযথ বাজার ব্যবস্থাপনা, দুগ্ধজাত পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার বিষয়ে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।