বাণিজ্যমেলায় নারীদের পণ্যসামগ্রীতে চলছে ‘আখেরি’ ছাড়

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

একদিন পরই শেষ হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর। তাই শেষ মুহূর্তে বিশেষ ছাড়ে পণ্য কিনতে মানুষের ঢল নেমেছে। এদিকে মেলায় নারীদের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীতে চলছে ‘আখেরি’ ছাড়। এমন অফারে স্টলগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্যমেলায় নারীদের পণ্যসামগ্রীর বিভিন্ন স্টলে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, এবারের মেলায় অরগেঞ্জা মসলিন শাড়ি তিন হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা, জামদানি থ্রি-পিস এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার পাঁচশ টাকা, জামদানি শাড়ি তিন হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা, জামদানি কাতান এক হাজার থেকে চার হাজার টাকা, টাঙ্গাইল শাড়ি আটশ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা, পাত্রাইল শাড়ি চার হাজার পাঁচশ টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় র্যাংগসের পণ্যে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়

এছাড়া শ্যাম্পু দুই হাজার টাকা, বডি লোশন এক হাজার আটশ টাকা, ফেসওয়াশ এক হাজার চারশ টাকা, ওলিভ অয়েল পাঁচশ টাকা, লিপস্টিক পাঁচশ থেকে চারশ টাকা, আইশ্যাডো এক হাজার চারশ টাকা, বিভিন্ন রকমের পারফিউম এক হাজার ছয়শ টাকা থেকে পাঁচ হাজার, লিপবাম চারশ টাকা ও বিভিন্ন থ্রি-পিস পাঁচশ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে জামদানি শাড়িতে ৪০ শতাংশ, বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী ও হাতব্যাগে ১০ শতাংশ, বিভিন্ন থ্রি-পিসে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় আরএফএল’র প্লাস্টিকপণ্যে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়

দুই মেয়েকে নিয়ে বাণিজ্যমেলায় এসেছেন মা সুমা আক্তার। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, জামদানি শাড়ির প্রতি নারীদের অন্যরকম এক টান থাকে। তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় জামদানি শাড়ি সবসময় কেনা হয় না। মেলায় দেখলাম ৪০ শতাংশ ছাড় চলছে, তাই নিজের জন্য তিনটি শাড়ি কিনে ফেললাম।

ফারিয়া আক্তার নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে বাণিজ্যমেলায় এসেছি। মেলায় এসে দেখি বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীতে বিশেষ ছাড় চলছে। আবার আমি ছোটবেলা থেকেই সাজসজ্জায় দিকে খুব মনোযোগী। তাই বাণিজ্যমেলা থেকে কয়েকটি প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখলাম।

আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে আরএফএলের পণ্য

জামদানি ওয়ার্ল্ডের ইনচার্জ নাইম ইসলাম বলেন, আমাদের কারিগররা খুব যত্নসহকারে জামদানি শাড়ি তৈরি করে। মেলার শুরুর দিকে আমাদের শাড়িগুলোতে ২০ শতাংশ ছাড় দিলেও এখন ৪০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার পর ক্রেতাদের সাড়া আরও বেড়েছে।

প্রিয়া টেক্সটাইলের ইনচার্জ জালাল আহমেদ বলেন, ক্রেতাদের প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমাদের তৈরি করা থ্রি-প্রিসগুলো সবসময় নারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। এখন আমরা ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের বেচাবিক্রি প্রচুর বেড়েছে।

স্থায়ী ভেন্যুতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার প্রধান ফটক করা হয়েছে মেট্রোরেলের আদলে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।

এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এ সংখ্যা ছিল ২২৫টি।

রাশেদুল ইসলাম রাজু/আরএডি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।