বাণিজ্যমেলায় শেষ দিনে জুতায় ২০ শতাংশ ছাড়
কয়েক ঘণ্টা পরই পর্দা নামছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসরের। শেষ মুহূর্তে এসে ছাড় দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে বিভিন্ন জুতায় চলছে নানা ছাড়। ছাড় দিয়ে জুতা কিনতে মেলায় ভিড় করছেন ক্রেতারাও। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে বাণিজ্যমেলার জুতার স্টল ঘুরে এমনই দেখা যায়।
আজ বিভিন্ন জুতায় ১০-২০ শতাংশ ছাড় চলছে। এক জোড়া জুতা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। এছাড়া কেউ একসঙ্গে দুই জোড়া জুতা কিনলে তা আবার মিলছে দেড় হাজার টাকায়।
আরও পড়ুন: যে দোকানে ১০ টাকায় মেলে গরুর মাংস, ৪৫ টাকায় ইলিশ
জুতা কিনতে আসা ফাহিম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, মেলার শেষ দিনে প্রতিটি স্টলে প্রচুর ছাড় চলছে। জুতা কেনার প্রয়োজন ছিল তাই ছাড় দিয়ে দুই জোড়া জুতা কিনলাম।
স্বর্ণা আক্তার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আব্বু-আম্মুর সঙ্গে মেলায় এসেছি। মেলায় প্রবেশ করে দেখলাম বিভিন্ন জুতায় বিশেষ ছাড় চলছে। তাই জুতা কিনতে চলে এলাম।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যমেলায় পোলারের প্যাভিলিয়নে আইসক্রিমপ্রেমীদের ভিড়
পিপলস ফুটওয়্যারের ইনচার্জ আজিজুল হাকিম বলেন, মেলার শুরুর দিকে আমাদের স্টলে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু আজ শেষ দিনে ক্রেতাদের প্রচুর সাড়া পাচ্ছি।
ফিট ফেয়ার স্টলের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মেলা শেষ হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এখনো অনেক জুতা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তাই বিশেষ ছাড় দিয়ে এগুলো বিক্রি করছি।
ওয়াকার ফুটওয়্যারের ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম আজিজ বলেন, এবারের মেলায় ওয়াকার ফুটওয়্যারের অনেক জুতা নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব জুতা আমরা শেষ মুহূর্তে বিশেষ ছাড় দিয়ে বিক্রি করছি। এসব জুতা সব সময় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ছিল। তাই আমরা মেলার শুরু থেকেই ক্রেতাদের ভালো সাড়া পেয়েছি।
আরও পড়ুন: শেষ সময়ে মিনিপার্কে শিশু-দর্শনার্থীদের ঢল
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।
মেলায় যাতায়াত সুবিধার জন্য গতবারের মতো এবারও শাটল বাস সার্ভিস চলেছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করেছে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/জেডএইচ/এমএস