কর্ণফুলী টানেল
অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তি ও গাইডলাইন তৈরির পরামর্শ
চলমান কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু অডিট আপত্তি এসেছে। দ্রুত এসব অডিট নিষ্পত্তি করতে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
কর্ণফুলী টানেলের আনোয়ারা অংশে স্থাপিত টোলপ্লাজা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে সাগরপাড়ে ৬৩ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন সার্ভিস এরিয়ায় হোটেল, মোটেল, ছাত্রাবাস, কনভেনশন সেন্টার, হেলথ সেন্টার, জাদুঘর, সুইমিংপুল, সেতু, মসজিদ, অভ্যন্তরীণ রাস্তাসহ ভৌত অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। এসব অবকাঠামো সুশৃঙ্খলাভাবে পরিচালনার জন্য গাইডলাইন তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>> যেমন হবে স্বপ্নের টানেল
সরকারের সেতু বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আইএমইডির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জহির রায়হান ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর চলমান প্রকল্পের পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে এসব সুপারিশ ও মতামত দেওয়া হয়েছে।
আইএমইডি জানায়, প্রকল্পের অধিগ্রহণ ও রিকুইজিশনযোগ্য মোট ৩৭৯ দশমিক ৪২ একর ভূমির মধ্যে ৩৬৫ দশমিক ৩৯ একর ভূমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের জন্য একান্তই প্রয়োজন না হলে অবশিষ্ট ১৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>> নতুন বছরে অর্থনীতির গতি বাড়াবে বঙ্গবন্ধু টানেল
প্রকল্পের অদূরে নির্মিত ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ও মানসম্পন্নভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে স্বীকৃত পরামর্শক থাকা আবশ্যক। সার্ভিস এরিয়ার অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হলে তা পরিচালনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। সার্ভিস এরিয়ার অবকাঠামো পরিচালনা সেতু বিভাগের কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আছে। তবে অবকাঠামো নির্মাণ শেষে ঠিকাদারের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর এগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা গাইডলাইন তৈরি করা আবশ্যক।
কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য আনোয়ারা প্রান্তে টানেলের অ্যাপ্রোচ সড়ক আনোয়ারা-বাঁশখালী-পটিয়া সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছে আইএমইডি।
আরও পড়ুন>> কর্ণফুলীর বুকে ফোঁড় কাটছে বঙ্গবন্ধু টানেল
প্রকল্পের আওতায় প্রণীত পুনর্বাসন অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী পুনর্বাসন কার্যক্রম অবশিষ্ট থাকলে তা দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রকল্পের কারণে পরিবেশের বিরূপ প্রভাব যেন না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার সুপারিশও করেছে আইএমইডি।
এমওএস/এএএইচ/এএসএম