সৌদি-বাংলাদেশ পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি চূড়ান্ত
সৌদি আরব সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও শিল্পে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি স্বাক্ষরিত হবে।
সৌদি অ্যারাবিয়ান জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির (সাগিয়া) ডেপুটি গভর্নর ও ন্যাশনাল কম্পিটিটিভ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট সউদ কে. আল-ফয়সালের সঙ্গে মঙ্গলবার রিয়াদে অবস্থিত সাগিয়ার প্রধান কার্যালয়ে বৈঠককালে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক মো. ইকরামুল হক, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মশীসহ বাংলাদেশ দূতাবাস ও সাগিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় শিল্পমন্ত্রী ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভায় সৌদি ঋণ সহায়তার আওতায় উত্থাপিত বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। ভৌগলিক অবস্থান, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার এবং তুলনামূলক সস্তা শ্রম শক্তির প্রাচুর্যের কারণে এদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে চীন, জাপান, ভারত, কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে, তাদের জন্যও একই ধরনের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বাংলাদেশ সরকার উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ শিল্পখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পণ্য বৈচিত্রকরণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সৌদি আরব এ খাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশের লবণ শিল্পের উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড (জেমকো), ইস্টার্ন ক্যাবলস্ লিমিটেড (ইসিএল) ও বাংলাদেশ ক্যান কোম্পানি লিমিটেড-এর সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে সৌদি ডেপুটি গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরে মন্ত্রী সৌদি আরবের আইন ও প্রশাসনিক বিষয়ক বিভাগের সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসআই/একে/এমএস