বীমা খাতে নৈতিকতার ঘাটতি রয়েছে


প্রকাশিত: ০৫:৫৫ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৬

বীমা খাতে নৈতিকতার ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে এ খাতের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে বলেও মনে করেন মুহিত।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘বীমা মেলা ২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিন দিনব্যাপী ‘নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য বীমা’ স্লোগানে প্রথমবারের মতো এ বীমা মেলার আয়োজন করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, বীমা জগতে নৈতিকতার অভাব রয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই মানুষ ইন্স্যুরেন্স করেন, কিন্তু ক্ষতিপূরণ পান না। তবে বীমা কর্তৃপক্ষ বেশ ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অতীতের চেয়ে বীমার বিকাশ খুব মন্দ নয়।

তিনি বলেন, বীমা কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য। অনেক ব্যবসাই আছে বীমা করে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। ইন্স্যুরেন্সের বড় খাত হলো জীবন বীমা।

মুহিত বলেন, আমাদের দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মীর সংখ্যার দিক দিয়ে বীমা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তবে বীমা আমাদের দেশে একটু নতুন ব্যবসা বলা যেতে পারে।

সবশেষে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বীমা আইন ও বিমা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হয়। ফলে বীমা খাত আমাদের দেশে অনেকটা অনিয়ন্ত্রিত খাত হিসেবেই গড়ে  উঠেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রামগঞ্জে বীমা খাতের প্রতি যে মিশ্র ধারনা আছে তা সংস্কার ও বীমা প্রতিনিধিদের ভালোভাবে বীমার বিষয়কে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, এখনও বীমা খাত খুব বেশি এগোতে পারেনি। তার অন্যতম কারণ হলো বীমার ধারণাটি জনসাধারণের কাছে খুব পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বীমার জন্য যতোটুকু কথা বলেন, তার চেয়ে নিজের জন্য বেশি কথা বলেন।ফলে বীমা সম্পর্কে ভালো ধারনা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। বীমা দাবি নিস্পত্তির সময় একটু বেশি লাগার কারণেও বীমার প্রতি অনাগ্রহ দেখা যায়।
 
সভাপতির বক্তব্যে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ (একচ্যুয়ারি) বলেন, যেকোনো দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বীমা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো বীমা সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারেনি। তবে বর্তমানে এগিয়ে যাচ্ছে।
 
তিনি জানান, গত বছর প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি ক্লেইম বা বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় বেশি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ইউসুফ আলী ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির আহম্মেদ।

এসএ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।