কাশিমপুর-কোনাবাড়ি
তিনটি বাদে সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে: বিজিএমইএ
কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার তিনটি পোশাক কারখানা বাদে সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিজিএমইএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিএমইএ জানায়, এলাকার শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশ, গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতায় কারখানা খুলে দেওয় হয়েছে। কারখানাগুলোতে স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। একই বন্ধ তিনটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে খুলে দেওয়ার জন্য। এসব কারখানার শ্রমিকরা কাজ করতে চাইলে খুলে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে আশুলিয়া এবং মিরপুরের প্রায় ৯৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। এই কারখানাগুলোতেও আলোচনা চলছে। শ্রমিকরা কাজ করতে চাইলে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া পোশাকশিল্প অধ্যুষিত অন্যান্য এলাকাসমূহ যেমন- টঙ্গী, গাজীপুর, শ্রীপুর, মাওনা, ময়মনসিংহ, সাভার, ইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ, ডিএমপি, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকাগুলোর সব পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে এবং সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় আছে।
আরও পড়ুন>> সর্বনিম্ন মজুরি নিয়ে আপত্তি ১১ শ্রমিক সংগঠনের
বিজিএমইএ জানায়, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত পোশাকশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কারখানাগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে ইতিবাচক জনমত প্রচার করে গণমাধ্যমগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিজিএমইএ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে যে, পোশাকশিল্পের বর্তমান পর্যায়ে আসার পেছনে গণমাধ্যমের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিজিএমইএ বিশ্বাস করে পোশাকশিল্পে সুষ্ঠু শ্রম পরিস্থিতি বজায় রেখে এ শিল্পকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, সরকার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, শিল্প পুলিশসহ সব আইন শৃ্ঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনসাধারণ- সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা রয়েছে। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিল্পের প্রতি সহমর্মিতা আর একাত্মতা পোষণ করে শিল্পে সহযোগিতা প্রদান করে শিল্পকে সচল রেখেছেন। আমরা সবার কাছে চিরঋণী। আমাদের আশা পোশাকশিল্পে এই সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
ইএআর/এমএস