সরাসরি ইলিশ বিক্রি করলে দাম কমানো সম্ভব: মৎস্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৯ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

ইলিশ মাছ ধরার উৎস থেকে যদি সরাসরি বিক্রি পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারা যায়, তাহলে দাম কমানো সম্ভব। মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে এই কাজ করতে হবে, এমন মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ রক্ষার জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নেই। অনেক সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়। আমরা বাজারের দাম কমাতে পারি না।

সরাসরি ইলিশ বিক্রি করলে দাম কমানো সম্ভব: মৎস্য উপদেষ্টা

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিএফডিসি ভবনের সামনে হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন ও মেরিনা ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।

ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ মাছ শুধু জাতীয় মাছ না। এর সঙ্গে স্বাদ, রান্না, জীবনযাপন অনেক কিছু জড়িত। ক্রয়সীমার মধ্যে রেখে বাংলাদেশের মানুষের এই মাছ খাওয়ার অধিকার আছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা হয়তো সবাইকে সন্তষ্ট করতে পারবো না। আমরা শুধু এইটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো না। আরও বেশি কীভাবে মানুষের মাঝে পৌঁছাতে পারি সেই চেষ্টা করবো।

সরাসরি ইলিশ বিক্রি করলে দাম কমানো সম্ভব: মৎস্য উপদেষ্টা

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ৪৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ রয়েছে। আমরা ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাই। আমরা আরও বেশি চেষ্টা করবো। জনসাধারণ যেন এই মাছ খেতে পারে তাই ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা করি।

এসময় মেরিনা ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনাম চৌধুরী বলেন, ইলিশ মাছ খুব দুর্লভ হয়ে গেছে। আমরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরি। দেশে হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির এই উদ্যোগ প্রথম। এর মাধ্যমে সুলভ মূল্যে ইলিশ মাছ দিতে পারবো। এই মাছটা আমিষের বিরাট সোর্স। আমাদের লক্ষ্য থাকবে এই উদ্যোগ যেন দেশব্যাপী পৌঁছে দিতে পারি।

আরএএস/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।