বিজেএমসি-বিটিএমসির সব মিল লিজ দিতে চাই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিজেএমসি ও বিটিএমসির ৪৫ থেকে ৫০টির মতো বন্ধ মিল রয়েছে, যা লিজের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দিতে চাই। এরই মধ্যে গত ছয় মাসে তিনটি মিল হস্তান্তর হয়েছে, আরও কিছু মিল লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিল লিজ পদ্ধতিতে পরিচালনায় বিটিএমসি ও ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটিডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা উদ্যোক্তােদের উদ্দেশে বলেন, এখন সরকার কোনো সম্পর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, বিনিয়োগকারীর যোগ্যতা এবং প্রস্তাবের ভিত্তিতে এগুলো দেওয়া হচ্ছে। আপনারা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর রিসোর্স ব্যবহার করুন, নিজে ও দেশকে লাভবান করুন। এতে দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে বড় অবদান রাখা হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) ও বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) মিলগুলোতে অবকাঠামো পরিপূর্ণ আছে। কিছুটা সংস্কার করে নিলেই দ্রুত এর উৎপাদন শুরু হবে, লাভ করার সুযোগ হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিনিয়োগকারী খুঁজছে, ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ নিয়ে নিন।

jagonews24

অনুষ্ঠানে বিনিয়োগের বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, কুড়িগ্রামের উপযোগী কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করলে জনসাধারণ উপকার পাবে। বন্ধ থাকা মিলগুলো পুনরায় চালুর জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহমেদ বলেন, কুড়িগ্রামে কর্মসংস্থান বাড়াতে এবং জন ও পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কুড়িগ্রামবাসী উপকৃত হয়।

পরে বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদ হাসান এবং ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহমেদ চুক্তিতে সই করেন।

এনএইচ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।