এনসিটিবির ‘শেষ প্রতিশ্রুতি’

১৬ মার্চের মধ্যে সব পাঠ্যবই পাবে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৫
ছাপা হলেও আরও দুই কোটি ৩৭ লাখ কপি বই বিতরণ প্রক্রিয়াধীন/ ফাইল ছবি

চলতি বছর শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দফায় দফায় সব বই বিতরণে দিন-তারিখ ঠিক করে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি শিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা।

গত ৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিদায় নেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সেদিন তিনি ১০ মার্চের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সব বই পেয়ে যাবে বলে জোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। তবে সেই প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেনি এনসিটিবি।

এবার ১৬ মার্চের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যবই দেওয়ার ‘শেষ প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আশা করছি ১৬ মার্চের মধ্যে সব শ্রেণির সবগুলো বই দিতে পারবো আমরা।’

jagonews24.com

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

বই দিতে দেরি হওয়ার পেছনে ছাপাখানা মালিকদের দায়ী করে অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘কিছু প্রেস কাজ পেয়েছে, কিন্তু কাজটা তারা নানান বাহানায় করছে না। তারা আসলে সিক (অসুস্থ)। তারা কারও কথাও শুনতে চান না। এজন্যই বই দিতে এত দেরি। তাছাড়া একটি প্রেসের বাইন্ডিং হাউজে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটাও বই দেরিতে দেওয়ার অন্যতম এক কারণ।’

চাহিদার অতিরিক্ত বই নিলেই শাস্তি
অনেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চাহিদার অতিরিক্ত বই নিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান।

তার ভাষ্য, চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বই পেয়েছেন কিছু উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা। তাদের শাস্তি পেতে হবে। এরই মধ্যে সেই আদেশ পাঠানো হয়েছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, শাস্তির ঘোষণার পরপরই দেখা গেছে, অনেক শিক্ষা কর্মকর্তা অতিরিক্ত বই ফেরত দেওয়া শুরু করেছেন। সেই বই আমরা অন্য উপজেলায় পাঠাচ্ছি।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, সোমবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। এ বছর মোট বই ৪০ কোটি ১৬ লাখের কিছু বেশি। সেই হিসাবে এখনো প্রায় ২ কোটি বই ছাপা বাকি। তাছাড়া ছাপা হলেও আরও দুই কোটি ৩৭ লাখ কপি বই বিতরণ প্রক্রিয়াধীন। সেগুলো এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি।

এএএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।