বকেয়া আদায়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলকে সহনীয় হতে বললেন অভিভাবকরা
টিউশন ফি দুই মাস বকেয়া হলে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হবে- রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের জারি করা এমন নির্দেশনা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এটি বাতিলের দাবিতে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
অভিভাবকরা বলেন, করোনাভাইরাসের এ বৈশ্বিক মহামারিতেও মাস্টারমাইন্ড স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে না। গত মার্চ মাস থেকে ঘরবন্দি থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত রাখতে বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এ অনুরোধ আমলে না নেয়ায় আমরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হই, আদালতে রিট করি। আদালত থেকে আমাদের পক্ষে নির্দেশনা দিলেও তা অমান্য করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেন, বর্তমানে দুই মাসের টিউশন ফি বকেয়া থাকলে ভর্তি বাতিল করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। করোনার মধ্যে দুই মাসের বেতন পরিশোধ করতে না পারলে অনলাইন ক্লাস থেকে বহিষ্কারসহ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হবে। এ কারণে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ করতে স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছে। একজন শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ভর্তির সময় প্রায় দেড় লাখ টাকা আদায় করা হলেও টিউশন ফি পরিশোধ করতে না পারলে ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না। দাবি আদায়ে অভিভাবকরা বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলেও জানান তারা।
আন্দোলনকারী মাস্টারমাইন্ডের অভিভাবক শশী ইব্রাহিম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছু অভিভাবক নির্ধারিত সময়ে টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারছেন না। এ কারণে তাদের সন্তানদের অনলাইন ক্লাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ওপর টিউশন ফি ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুই মাসের বকেয়া হলে ভর্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এটি একটি অমানবিক আচরণ, আমরা তা মেনে নেব না।
তিনি বলেন, আমরা চাই সব শিক্ষার্থীকে ক্লাস করার সুযোগ দিতে হবে। আর্থিক সমস্যায় থাকা অভিভাবকদের কাছে কিস্তিতে টিউশন ফি নেয়ার প্রস্তাব জানানো হয়েছে, সেটিও কর্তৃপক্ষ মানছে না। এ দাবিতে তারা ঢাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদন দেয়া হয়েছে।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি মেনে নেয়া না হলে নতুনভাবে আন্দোলন শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
এমএইচএম/বিএ/এমকেএইচ