ভিকারুননিসার বিরুদ্ধে টিউশন ফি আদায়ে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০২০

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে অনিয়ম ও চাপ প্রয়োগ করে টিউশন ফি আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। নতুন ভর্তি বাতিলে হাইকোর্টে রিটের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন একাধিক অভিভাবক।

তাদের দাবি, এর আগেও ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে উচ্চ আদালতে দুটি রিট করা হয়েছিল। যার প্রথমটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়টির আলোকে প্রতিষ্ঠানটি ভর্তি কার্যক্রম চলছে। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চিঠির নির্দেশনা যথাযথ নয় বলেও দাবি অভিভাবকদের।

একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে অন্যায়ভাবে টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সুজন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সরকার যেখানে বার বার সহমর্মিতার কথা বলছেন, সেখানে অক্টোবর মাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করে জুলাই থেকে টিউশন ফি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ’

এখন যারা নতুন করে ভর্তি হবে তারা কেন জুলাই থেকে টিউশন ফি দেবে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে রিট করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সৈয়দ এহসানুল হক নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার সন্তান একেবারে নতুনভাবে ভর্তি হয়েছে। সে যেহেতু অক্টোবর থেকে ভর্তি, সেহেতু চলতি মাস থেকেই ফি ধরতে হবে। আমি কেন আগস্ট-সেপ্টেম্বর দুই মাসের বাড়তি ফি দেব? এটাতো একেবারেই অন্যায়।’

এদিকে ভিকারুন্নিসায় ভর্তি অনিয়মের অভিযোগ তুলে এটি বাতিলের দাবিতে নজরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের (জিবি) সভাপতিকে চিঠি দিয়েছেন।

এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২১ জানুয়ারি করা রিট মামলার প্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আদালতের দোহাই দিয়ে ভর্তির কার্যক্রম বাতিল এবং টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ৯ মার্চ আরেকটি রিট করা হয়। আদালত রিট নিষ্পত্তিতে ঢাকা বোর্ডকে নির্দেশ দেন। এতে ভর্তির কোনো নির্দেশনা দেননি আদালত। প্রথম রিটের কথা গোপন রেখে দ্বিতীয়টির আলোকে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দেয়া অনৈতিক ও আদালতের নির্দেশনার পরিপন্থী।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রিজওয়ানা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের অক্টোবরে সেসব ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পুরো বছরের বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন দিতে হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনায় সব অর্থ ব্যয় করতে হয় বলে গভর্নিং কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এমএইচএম/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।